প্রতিবন্ধীদের সমাজের সাথে একীভূত করতে উদার দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন: বিভাগীয় কমিশনার
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭:১৮:২২ অপরাহ্ন
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মোঃ রেজা-উন-নবী বলেছেন, প্রতিবন্ধীরা আমাদের পরিবার, সমাজ এবং দেশের অংশ। তাদেরকে একীভূত করতে উদার দৃষ্টিভঙ্গি এবং সহানুভূতির প্রয়োজন। তারা যাতে সামাজিক মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে পারে, সে জন্য তাদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। শুধু তাই নয়, তাদের জন্য যোগ্যতা অনুসারে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের স্পেশাল কেয়ার, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সাপোর্ট দিলে তারাও দেশের সম্পদে পরিণত হবেন।
মঙ্গলবার ৩৩তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৬তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, সহায়ক উপকরণ বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে জেলা প্রশাসন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে সিলেটে কর্মরত বেসরকারি সংগঠনসমূহের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
‘অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণ : বিকশিত নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে প্রতিবন্দ্বী জনগণ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে একটি শোভাযাত্রা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে রিকাবীবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে এসে সম্পন্ন হয়। শোভাযাত্রায় সরকারের উচ্চপদস্থ কমর্কতা, আয়োজক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং প্রতিবন্দ্বীরা অংশগ্রহণ করেন।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনোয়ার-উজ-জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয় (সিলেট)-এর পরিচালক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রাসেলুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী, কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী। সরকারি শিশু পরিবার (বালিকা), রায়নগর-এর উপ-তত্ত্বাবধায়ক মুনতাকা চৌধুরী এবং প্রতিবন্দ্বী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র, শেখঘাট-এর প্রতিবন্দ্বী বিষয়ক কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ শংকর রায়-এর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ আব্দুল রফিক এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন রহমানিয়া প্রতিবন্ধী কল্যাণ ফাউন্ডেশন সিলেট-এর সভাপতি আতাউর রহমান খান শামসু, গ্রীণ ডিজেবল ফাউন্ডেশন সিলেট-এর সভাপতি বায়েজিদ খান।
অনুষ্ঠানে প্রতিবন্দ্বীদের জন্য ৮০টি হুইল চেয়ার এবং ২০টি বাই-সাইকেল সহায়ক উপকরণ হিসেবে প্রদান করা। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সমাজসেবা অফিসার খলিলুর রহমান এবং গীতা পাঠ করেন মহিলা ও শিশু-কিশোরী হেফাজতীদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র সেফহোম সিলেট-এর উপ-তত্ত্বাবধায়ক রূপন দেব। পুরো অনুষ্ঠানকে ইশারা ভাষায় উপস্থাপন করেন মুহাম্মদ সফিউল আলম। আলোচনাসভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সিলেটের স্থানীয় শিল্পীরা বিভিন্ন পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানকে মাতিয়ে রাখেন। বিজ্ঞপ্তি