সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ বছরে দেড় শতাধিক পরিবার নিশ্চিহ্ন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯:২৫:২৪ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : সড়ক দুর্ঘটনায় একসঙ্গে পুরো পরিবার নিহত হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং গত পাঁচ বছরে দেড় শতাধিক পরিবার চিরতরে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। ফাউন্ডেশনটি তাদের গবেষণায় বিভিন্ন যানবাহনভিত্তিক আলাদা পরিসংখ্যানও প্রকাশ করেছে।
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা :
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১২৩টি ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছেন এবং ৮৪টি ঘটনায় পিতা-পুত্রের মৃত্যু হয়েছে। মোট ১২৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৪৬ জন এবং ৮৪টি দুর্ঘটনায় ১৬৮ জন নিহত হয়েছেন।
অটোরিকশা দুর্ঘটনা :
অটোরিকশায় একই পরিবারের দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে ১৩৭টি, তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনা ৭৮টি, চারজন নিহত হওয়ার ঘটনা ৬২টি, পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনা ৩৮টি, ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনা ২৬টি এবং সাতজন নিহত হওয়ার ঘটনা ১১টি। এসব দুর্ঘটনায় মোট ৩৫২টি পরিবারের ১,১৭৯ জন নিহত হয়েছেন।
মাইক্রোবাস দুর্ঘটনা :
মাইক্রোবাসের দুর্ঘটনায় একাধিক পরিবারের দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনা ১৬টি, তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনা ২২টি, চারজন নিহত হওয়ার ঘটনা ১৭টি, পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনা ১১টি, ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনা ৮টি এবং ১১ জন নিহত হওয়ার ঘটনা ১টি। এসব দুর্ঘটনায় ৭৫টি পরিবারের ২৮০ জন নিহত হয়েছেন।
প্রাইভেটকার দুর্ঘটনা :
প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় একই পরিবারের দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনা ২৪টি, তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনা ২১টি, চারজন নিহত হওয়ার ঘটনা ১৭টি এবং পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনা ১৪টি। এই দুর্ঘটনাগুলিতে ৭৬টি পরিবারের ২৪৯ জন নিহত হয়েছেন।
অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনা :
অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনা ৯টি, চারজন নিহত হওয়ার ঘটনা ৫টি, পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনা ৩টি এবং আটজন নিহত হওয়ার ঘটনা ১টি। এসব দুর্ঘটনায় মোট ১৮টি পরিবারের ৭০ জন নিহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার মূল কারণ :
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য কয়েকটি প্রধান কারণ রয়েছে:
১. সড়ক অবকাঠামোর উন্নতি হওয়ার কারণে পরিবারসহ বেড়াতে যাওয়ার এবং কর্মস্থলে যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
২. মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল করায় দুর্ঘটনার হার বেড়েছে।
৩. অধিকাংশ মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুলেন্সের ফিটনেস সনদ না থাকা।
৪. মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুলেন্স চালকদের অদক্ষতা এবং সঠিক বিশ্রামের অভাবের কারণে দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি চালানো।
৫. ট্রাফিক আইন অমান্য করে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো।
ফাউন্ডেশনের সুপারিশ :
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন তাদের সুপারিশে বলেছে:
১. মোটরসাইকেল চালকদের উন্নত মানের হেলমেট পরা উচিত।
২. ট্রাফিক আইন মেনে চালকরা গাড়ি চালানো উচিত।
৩. মহাসড়কে নিরাপদ রোড ডিভাইডার ও সার্ভিস রোড নির্মাণ করা উচিত।
৪. সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের চলাচল মনিটর করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে।