ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ২৪ ঘন্টার বেশি সময় যানজট : ৩৪ কিলোমিটারজুড়ে দুর্ভোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১০:৩৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: টানা ২৪ ঘণ্টা ধরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার বিকেল ৪টা থেকে যানজট শুরু হয়ে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুরো ৩৪ কিলোমিটার যানজটে পরিণত হয়। দুর্ভোগে পড়েন হাজার হাজার যাত্রী ও যানবাহনের চালকেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভারতের কলকাতা ও আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকা অবমাননাসহ অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ভারতের সীমান্ত অভিমুখে বুধবার সকাল থেকে লংমার্চ শুরু করে বিএনপির তিন সংগঠন-ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময় ৪ হাজারের অধিক যানবাহন সরাইল বিশ্বরোড মোড় অতিক্রম করে। এতে বুধবার বিকেল ৪টার পর থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড়ের তিন দিকে যানজট শুরু হয়। এ যানজট চলতে থাকে টানা ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পর কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের যানজট কমতে থাকে। কিন্তু বাড়তে থাকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যানজট। এ যানজট ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুরো ৩৪ কিলোমিটার অংশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে হবিগঞ্জের মাধবপুর পর্যন্ত বিস্তৃতি ঘটে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় অনেকে দৈনিক জালালাবাদকে ফোন করে ভয়াবহ যানজটের খবর জানান।
তারা জানান, মহাসড়কের পুরো অংশে যানজট লেগে আছে। মহাসড়কে যানজটে আটকা পড়েছে হাজার হাজার যানবাহন। এতে দুর্ভোগে পড়েন অসংখ্য চালক ও যাত্রীরা।
পণ্যবাহী ট্রাকচালক শাহীন মিয়া বলেন, বুধবার রাত ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে ঢুকছি। অহন বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টা বাজে। এটুকু অংশ (১৫ কিলোমিটার) আসতে এই সময় (১৫ ঘণ্টা) লাগছে। এখানে হোটেলে খাবারও নাই। কিছু খাইতেও পারতেছি না।’
অনেকে জানান, মহাসড়কের পাশের হোটেলে খাবারসংকট দেখা দিয়েছে। যেসব হোটেলে সামান্য খাবার পাওয়া যাচ্ছে, তাতে মূল্য রাখা হচ্ছে দ্বিগুণ। ফুটপাতের এক দোকানি বলেন, আমাদের সব খাবার শেষ। আমরাও কোথাও গিয়ে পণ্য আনতে পারছি না।