সাংবাদিক তুরাব হত্যা: ঘাতক দস্তগীর রিমান্ডে, ফাঁসির দাবিতে স্লোগান
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯:২৮:৫৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: দৈনিক জালালাবাদের স্টাফ রিপোর্টার এটিএম তুরাব হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সাদেক কাওসার দস্তগীরকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে তাকে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সেনা ও পুলিশের কড়া পাহারায় তোলা হয়। পরে পুলিশ দস্তগীরকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. আব্দুল মোমেন তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
শুনানীতে বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রব ও অ্যাডভোকেট আব্দুল খালিক। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এপিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মুকিত ও এপিপি আলী হায়দার ফারুক।
এরআগে এই হত্যাকান্ডের প্রায় সাড়ে ৪ মাস পর বুধবার বিকেল ৫টার দিকে শেরপুর থেকে পিবিআই তাকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার আদালতে কড়া নিরাপত্তায় দন্তগীরকে তোলার সময় তার ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন উপস্থিত লোকজন।
গত ১৯ জুলাই আন্দোলনকালে বন্দরবাজারে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে গুলিতে নিহত হন সাংবাদিক তুরাব। এসময় এডিসি দস্তগীরকে সহকর্মী কনস্টেবল থেকে শটগান কেড়ে নিয়ে গুলি করতে দেখা যায়।এরআগে ১৭ নভেম্বর রাতে এ মামলার আরেক পুলিশ আসামি কনস্টেবল উজ্জ্বলকে ঢাকা থেকে পিবিআই গ্রেফতার করে। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
সাংবাদিকদের রোষানলে এডিসি দস্তগীর: এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৫টার দিকে তাকে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় তোলা হয়। এসময় নিহত তুরাবের সহকর্মী উপস্থিত সাংবাদিকদের রোষানলে পড়েন ঘাতক দস্তগীর। কয়েকজন সাংবাদিক এসময় আবেগাপ্লুত হয়ে দস্তগীরকে কিল-ঘুষি মারতে চেষ্টা করেন। তবে সেনা ও পুলিশ তাদের শান্ত করেন। এসময় উত্তেজিত জনতা এডিসি দস্তগীরের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ১৯ আগস্ট সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেনের আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই আবুল আহসান মো. আজরফ (জাবুর)। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (ক্রাইম-উত্তর) মো. সাদেক দস্তগীর কাউছার, উপকমিশনার (উত্তর) অতিরিক্ত ডিআইজি আজবাহার আলী শেখসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।