অস্ত্র মামলার আসামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার পক্ষে বিএনপি নেতার সুপারিশ!
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:৪৯:০১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : বিগত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার উপর হামলায় জড়িত অস্ত্র মামলার আসামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে বাঁচাতে এবার তৎপর হয়েছেন বিএনপি নেতা।উপজেলা বিএনপির নেতা হয়েও ব্যবহার করেছেন মহানগর বিএনপির প্যাড। দিয়েছে দলীয় প্রত্যয়ণ পত্র। এ নিয়ে চলছে তোলপাড়। নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
জানা গেছে, শাহরিয়ার রাসেল দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এবং সাবেক এমপি হাবিবুর রহমানের হাবিবের অনুসারী। সরকার পতনের পরপরই নিজের লেবাস পাল্টেছেন ৪০নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের ক্যাডার শাহরিয়ার রাসেল। কিন্তু কোনোভাবেই নিজেকে রেহাই করতে পারেন নি। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার উপর হামলার ঘটনায় অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে এসএমপির কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরণ ও অস্ত্রমামলা ২৬/৫৬৩ থেকে মুক্তি পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন রাসেল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে তার বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র মজুদের গুঞ্জন রয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে বাঁচাতে সাবেক কুচাই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বজলুর রহমান ফয়েজ ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুহেল আহমদ মিলে দিয়েছেন দলীয় প্রত্যয়ন পত্র। শুধু তাই নয়, তারা ইউনিয়ন বিএনপির দায়িত্বশীল হলেও ব্যবহার করেছেন মহানগর বিএনপির প্যাড।
বিএনপি ইউনিয়ন পর্যায়ের দুই নেতা কর্তৃক মহানগর বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অনুমতি ছাড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার পক্ষে মহানগর বিএনপির প্যাড ব্যবহারকে কেন্দ্র করে বিএনপিতে শুরু হয়েছে গুঞ্জন ও তোলপাড়। দক্ষিণ সুরমা বিএনপির শীর্ষ এক নেতা জানান, কোন ক্ষমতা বলে ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা মহানগর বিএনপির প্যাড একজন সন্ত্রাসীর পক্ষে ব্যবহার করেন। এটি তো বিএনপির গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।
এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, দলীয় শৃঙ্খলার বিরুদ্ধে যে কেউ কোন কাজ করলে তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।প্রত্যয়নপত্র দেয়ার কথা স্বীকার করে কুচাই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি বজলুর রহমান ফয়েজ বলেন, ৪০নং ওয়ার্ড বিএনপির কোন কমিটি নেই। শাহরিয়ার আহমদ রাসেলের বাবাসহ তার ২ ভাই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত, প্রত্যয়নপত্রে সেই কথা উল্লেখ করা হয়েছে। রাসেল যে স্বেচ্ছাসেবক লীগ করতো বিষয়টি আমাদের জানা নেই।