সিলেটে আদালতে আ.লীগের ২২ নেতাকর্মীর আত্মসমর্পণ : ১৬ জনের জামিন, কারাগারে ৬ জন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:৪২:০৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : হামলা ও ভাঙচুর মামলায় সিলেটের আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের ২২ নেতাকর্মী। গত ৪ আগস্ট বিশ্বনাথে আল হেরা শপিং সিটিতে হামলা ও ভাঙচুর মামলায় আত্মসমর্পণ করা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ২২ নেতাকর্মীর মধ্যে ১৬ জনকে জামিন ও ৬ জনকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। রোববার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক ধ্রুব জ্যোতি পাল শুনানী শেষে এ আদেশ দেন।
এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট গোলাম ইয়াহইয়া চৌধুরী সুহেল। আসামী পক্ষে শুনানীতে অংশ নেন এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন, এডভোকেট ফাহেমা-আল জহুরা, অ্যাডভোকেট মিনহাজ গাজি ও অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান।
কারাগারে প্রেরণ করা নেতাকর্মীরা হলেন- মুফতিরগাঁও গ্রামের আইয়ুুব আলীর পুত্র উপজেলা যুবলীগ নেতা রাজন আহমদ অপু, জানাইয়া (মশুল্লা) গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের পুত্র উপজেলা যুবলীগ নেতা আবুল হোসেন, মুফতিরগাঁও গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার পুত্র উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা জাকির হোসেন মামুন, কারিকোনা (দূর্গাপুর) গ্রামের আব্দুল মতিনের পুত্র উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ফারাবী ইমন ইসলাম, জানাইয়া (মশুল্লা) গ্রামের ইউনুছ আলীর পুত্র উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ আহমদ রিপন, জানাইয়া (মশুল্লা) গ্রামের মৃত সমর আলীর পুত্র উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা কয়েছ আহমদ।
আসামী পক্ষের আইনজীবি ফাহেমা-আল জহুরা বলেন, মামলার ২২ জন আসামী আদালতের কাছে রোববার আত্মসমর্পণ করেন। আদালত ১৬ জনের জামিন মঞ্জুর করেন এবং ৬ জনের নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- জানাইয়া (মশুল্লা) গ্রামের আব্দুল মালিকের পুত্র উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক রাজন মিয়া, একই গ্রামের সমুজ আলীর পুত্র যুবলীগ নেতা নাসির মিয়া, সফিক মিয়ার পুত্র ছাত্রলীগ নেতা কামরান আহমদ, আব্দুল হকের পুত্র পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য ইসলাম আহমদ, সমুজ মিয়ার পুত্র আবুল মিয়া, এলাই ওরফে এলায়-এর পুত্র জাকির মিয়া, হাজী রইছ আলীর পুত্র আফিজ আলী, আজফর আলীর পুত্র যুবলীগ নেতা জমির আলী, সরুয়ালা গ্রামের আজিজুলের পুত্র নাহিদ আহমদ, শ্রীধরপুর গ্রামের রুকন আলীর পুত্র সিলেট ল’কলেজ ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আব্দুল বাতিন, একই গ্রামের শাহজাহান সিরাজের পুত্র ছাত্রলীগ নেতা রেজা মিয়া, বিশ্বনাথ নতুন বাজারের বাসিন্দা যুবলীগ নেতা হেলাল আহমদ, কামালপুর গ্রামের তোরাব আলীর পুত্র পৌর আওয়ামী লীগ নেতা রাসেল আলী, বিশ্বনাথ নতুন বাজারের বাসিন্দা উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, খাইয়াখাইর গ্রামের নিরেশ বর্ধনের পুত্র ছাত্রলীগ নেতা মিল্টন বর্ধন ও দৌলতপুর গ্রামের আলী আকবর মিলনের পুত্র ইমরান আহমদ।
এডভোকেট গোলাম ইয়াহইয়া চৌধুরী সুহেল জানান, আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। এরমধ্যে আদালত ১৬ জনের জামিন মঞ্জুর করেন এবং বাকী ৬ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এ মামলায় আগে ৫ জন গ্রেফতার হয়েছেন ও ৪ জন জামিনে রয়েছেন।
এর আগে রোববার সকালে আদালতে একসাথে আতœসমর্পণ করেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ২২ নেতাকর্মী। উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট বিশ্বনাথ পৌর শহরস্থ আল-হেরা শপিং সিটি ভাংচুর-লুটের অভিযোগে ঘটনার ১৪ দিন পর শপিং সিটির চেয়ারম্যান ছাদেকুর রহমান বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৮৩ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন। এছাড়া মামলায় আরো ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়।