জমে উঠে অলি-গলির ইফতার বাজার
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ মার্চ ২০২৫, ৯:২৭:২৩ অপরাহ্ন
বছর ঘুরে আবার এসেছে সিয়াম সাধনার মাস রমজান। আর রোজার প্রথম দিনেই জমে উঠে বিভিন্ন মহল্লার অলি-গলির ইফতারের বাজার। বিকেল হতেই মানুষের ভিড় বাড়তে দেখা যায় ইফতারসামগ্রী বিক্রির দোকানগুলোতে। হরেক রকম ইফতার বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরা। রোববার দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। তবে নিত্যপণ্যের দাম গতবারের তুলনায় এবার কম থাকলেও বেগুন, তেল, চাল ইত্যাদি দু তিনটি পণ্যের দাম বেশি থাকায় ইফতারির দাম গতবারের চেয়ে কমেনি। তবে ভারসাম্য রেখে দাম গতবারের মতোই রাখা হচ্ছে বলে জানান বিক্রিতারা।
প্রতি বছর ইফতারসামগ্রী বিক্রি করেন স্ন্যাকবার ব্যবসায়ী খোকন মিয়া। তিনি বলেন, শাকবড়া, পেয়াজু ৫টাকা, আলুচপ ১০টাকা, খিচুড়ি ও পোলাও ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ক্রেতার চাহিদা অনুপাতে বিক্রি করা হচ্ছে। জিলাপী বিক্রি করছেন ২৪০ টাকা করে কেজি।
এই বিক্রেতা বলেন, গতবার যে দামে বিক্রি করতাম এবারও সে দামেই বিক্রি করছি। দু একটি কাঁচামালের দাম কিছুটা বাড়লেও ইফতারসামগ্রীর দাম আমরা বাড়াইনি। আলু, পেঁয়াজ, তরকারি দাম কমলেও বেগুন, তেল ও চালের চড়া দামের কারণে সবদিক ব্যালেন্স করে বিক্রি করতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ওলি-গলি, রাস্তার পাশের ইফতার সামগ্রী থেকে রেস্তোরাঁর ইফতার সামগ্রীর দামের পার্থক্য পিসপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা। আর যেসব সামগ্রী কেজি আকারে বিক্রি হচ্ছে সেখানে দামের পার্থক্য ১০ থেকে ২০ টাকা করে।
বিক্রেতারা জানান রোজার শুরুর দিকে সাধারণত অলি গলির দোকানগুলোতেই বেশি ভিড় থাকে। শুরুতে মার্কেট দোকান পাট বন্ধ থাকায় বাড়ো রাস্তার পাশের বেশিরভাগ খাবারের দোকান বন্ধ থাকে বা বিক্রি কম হয়। ফলে ভিড়ও কম হয়।