জমতে শুরু করেছে ঈদ বাজার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ মার্চ ২০২৫, ৮:১৪:৫০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: মাহে রমজানে দ্বিতীয় দশকে এসে সিলেটে ঈদ বাজার ধীরে ধীরে জমতে শুরু করেছে। দিনের বেলা তেমন ক্রেতার চাপ না থাকলেও ইফতারের পর ক্রেতার সংখ্যা বাড়তে থাকে। বিশ রোজার পর ক্রেতার চাপ বাড়বে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। ইতিমধ্যে মার্কেটগুলো বার্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়েছে।
গতকাল নগরীর বিভিন্ন এলাকাঘুরে দেখা যায় মার্কেটগুলোতে তোরণ বসানো হয়েছে, রাতে করা হয়েছে ঝলমলে আলোকসজ্জার। কোনো কোনো মার্কেটে ঈদ উপলক্ষে কুপনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কুপন দিয়ে র্যাফেল ড্র এর মাধ্যমে ক্রেতারা কার, মোটরসাইকেল ইত্যাদি জেতার সুযোগ পাবেন।
ইতিমধ্যে নগরীর আল হামরা, সিটি সেন্টার, ব্লু ওয়াটার, মিলেনিয়াম, কাকলী, ওয়েন্ট ওয়ার্ল্ড, গ্যালারিয়া, লতিফ সেন্টার, শুকরিয়া, প্লাজা, হাসান মার্কেটে বিকেল থেকে ক্রেতার সংখ্যা বাড়তে দেখা গেছে। রাত বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে ভিড়। নারীরা সাধারণত সন্ধ্যার পর আর পুরুষ তারাবির পর থেকে রাত বারোটা-একটা পর্যন্ত বাজার করছেন বলে বিক্রেতারা জানান।
ক্রেতা বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে এখন মূলত বাচ্চাদের কাপড়, আনরেডি থ্রি-পিস এবং থান কাপড় বেশি বিক্রি হচ্ছে। বিশ রোজার পর রেডিমেড কাপড়ের চাহিদা বাড়তে থাকে। তবে এরইমধ্যে কাপড়ের দোকান এবং ফ্যাশস হাউসগুলো তাদের ঈদ কালেকশন তোলা শুরু করেছে। তারা বলেন অন্যবারের চেয়ে এবার ক্রেতার মতিগতি ভালো দেখা যাচ্ছে। অন্যান্য বার দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এবং বিদ্যুতের চরম বিভ্রাটের কারণে বাড়তি টাকা গুণতে হতো। তবে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবার জিনিসপত্রের দাম কিছুটা কম এবং বিদ্যুতের সমস্যা না থাকায় জেনারেটর, তেল খরচসহ অনেক বাড়তি খরচ কমেছে। ফলে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়েই কিছুটা স্বস্তিতে আছেন। এতে রোজার শুরু থেকেই কমবেশি ক্রেতার দেখা মিলছে। তবে দিনের চেয়ে সন্ধ্যার পর ক্রেতার সংখ্যা বেশি বলে জানান বিক্রেতারা।
নগরীর জিন্দাবাজারের কাকলী শপিং সিটি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাকারিয়া ইমরুল জানান, অন্যান্য বারের চেয়ে এবার অবস্থা ভালো। এবার আমাদের জেনারেটর বাবদ বাড়তি টাকা গুণতে হচ্ছেনা। বিদ্যুতের সমস্যা কমে যাওয়ায় অতিরিক্ত খরচ কমেছে। দ্রব্যমূল্য সাধ্যের মধ্যে থাকায় অনেক সাধারণ ক্রেতাও এবার ঈদ বাজারমুখী হয়েছেন। এতে আমরা আশাবাদী। তিনি বলেন তৈরি পোশাকের বাজার সাধারণত বিশ রোজার পর জমে। জুতার বাজারও তেমনি। এখন বাচ্চাদের পোশাক আর টেইংলারিং এর জন্য থান কাপড় ও আনরেডি থ্রি-পিস বেশি বিক্রি হচ্ছে।