ঈদ বাজার: ফ্যাশন হাউসে উপচে পড়া ভিড়
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ মার্চ ২০২৫, ৩:০০:২০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। এরই মধ্যে ঈদ কেনাকাটায় নগরীর বড়ো বড়ো শপিংমলের পাশাপাশি ভিড় বেড়েছে ফ্যাশন হাউসগুলোতেও। ক্রেতার মধ্যে পুরুষের তুলনায় নারীদের সংখ্যাই বেশি। তারা প্রিয়জনের জন্য কিনছেন পোশাক, জুয়েলারি, জুতাসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী। নামীদামি ফ্যাশস হাউসের পাশাপাশি স্থানীয় হাউসগুলোতেও ক্রেতার চাহিদা ও ভিড় ব্যাপক দেখা গেছে। তবে অন্যবারে চেয়ে এবার পোশাকের দাম বেশি বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।
এবার মেয়েদের পছন্দদের পোশাকের মধ্যে রয়েছে আগানুর, সারারা ও হেনা ড্রেস। আর ছেলেদের সবচেয়ে বেশি পছন্দ কাশ্মিরি পাঞ্জাবি। সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর শোরুমগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে কেনাকাটা।
সিলেটে নগরীর সবচেয়ে বেশি অভিজাত ফ্যাশন হাউস নয়সড়ক-জেলরোড, পূর্ব জিন্দাবাজার, কুমারপাড়া এলাকায়। এর মধ্যে আড়ং ও সিলেটের স্থানীয় ব্রান্ড মাহা ফ্যাশন হাউসে ছিল ক্রেতার উপচে পড়া ভিড়। দিনের শুরুতে ক্রেতার চাপ কিছুটা কম থাকলেও বিকেল থেকে ভিড় বাড়তে থাকে। ইফতারের কিছুক্ষণ পর থেকে এসব হাউসে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।মাহা ফ্যাশন হাউসে কথা হয় নগরীর সুবিদবাজারের আঞ্জুমান আরা নামে এক ক্রেতার সাথে। তিনি বলেন দেশীয় অন্যান্য ব্রান্ডের চেয়ে সিলেটের এই স্থানীয় ব্রান্ডের পোশাকের প্রতি তাদের আস্থার পাল্লা সবসময় ভারী। মানে ও দামে তারা সবসময় মাহা থেকে কেনাকাটা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এখানকার বিক্রয়কর্মীরাও যথেষ্ট আন্তরিক ক্রেতার প্রতি।
এদিকে ঈদে গরমের জন্য আরামদায়ক পোশাক কিনতে দেখা গেছে অনেককেই। বিশেষ করে নারীরা একাধিক কাপড় কিনছেন। পছন্দের পোশাক খুঁজতে ঘুরে ঘুরে ক্রেতারা সেরে নিচ্ছেন শেষ সময়ের কেনাকাটা। তবে, ক্রেতাদের অভিযোগ এ বছর দাম একটু বেশি চাওয়া হচ্ছে।
আশরাফুল আলম খোকন নামে এক ক্রেতা জানান এবার পোশাকে অনেক বেশি দাম চাওয়া হচ্ছে। অনেক দরদাম করার পরও দামে ছাড় দিচ্ছেন না দোকানীরা। তিনি বলেন তার বোনের জন্য একটি পাকিস্তানি ড্রেস ৭ হাজার টাকা চেয়েছেন এক দোকানী। তারা সাড়ে ৬ হাজার বলার পরও তা ছাড়েন নি, পরে ৭ হাজারে কিনেছেন। বাচ্চার জন্য পাঞ্জাবি কিনেছেন ১১শ টাকা দিয়ে।
ব্যবসায়ীরা জানান, দিন যত যাচ্ছে, ক্রেতাদের ভিড় তত বাড়ছে। এ বছর টি-শার্ট, সুতির পাঞ্জাবি ও জিনসের প্যান্ট বেশি বিক্রি হচ্ছে; পাশাপাশি নারীদের শাড়ি ও মেয়েদের বিভিন্ন থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে। ঈদে ঘুরাঘুরিতে আরামদায়ক পোশাক প্রয়োজন। তাই এবার সুতি কাপড়ের দিকেও অনেক চহিদা দেখা গেছে ক্রেতাদের।