শেরপুর মাদরাসায় সন্ত্রাসী হামলায় মুহতামিসহ আহত ৫, আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক ৩
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ৯:২৪:০৩ অপরাহ্ন
ওসমানীনগর প্রতিনিধি: শেরপুরে জামেয়াতুল ফালাহ শেরপুর মাদরাসায় সন্ত্রাসী হামলায় মাদরাসার মুহতামিসহ ৫জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি ওয়াজিরুল ইসলাম (৪০), শিক্ষক মাওলানা গিলমান আহমদ (৩৮), অফিস সহকারী রাহেল আহমদ (২৭), স্থানীয় জুয়েল আহমদ (৩৫) ও দিলাল আহমদ (২৫)। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর আবাসিক এলাকাস্থ জামেয়াতুল ফালাহ মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর দুপুরে পুলিশ ও সেনাসদস্যদের যৌথ অভিযানে মাদরাসা পাশর্^বর্তী শেরপুর আবাসিক এলাকার মোঃ চাঁন মিয়ার বসতবাড়ি থেকে একটি পাইপগান ও দেশীয় অসস্ত্রসহ হরমুজ উল্লাহর ছেলে মো. চাঁন মিয়া (৫০) ও হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার মজলিসপুর গ্রামের বশির মিয়ার ছেলে আব্দুল হামিদ (৩০) এবং খালেদ মিয়া(২৮) নামের ৩জনকে আটক করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি মাদরাসার পাশর্^বর্তী মোঃ চাঁন মিয়াগং পানি যাওয়ার পথ বন্ধ করে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে রাখলে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে বিষয়টি নিয়ে সালিশে বসার কথা ছিল। কিন্তু সালিশ বসার আগেই মোঃ চাঁন মিয়া তার ছেলে শাহ আলম, ভাগনা আজাদ ও হাবিবকে নিয়ে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে মাদরাসা শিক্ষকদের উপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে মৌলভীবাজার থানা পুলিশ ও সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে চাঁন মিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ তাকে আটক করেন।
মাদরাসার মুহতামিম মুফতি ওয়াজিরুল ইসলাম বলেন, চাঁন মিয়া মাদরাসার নিজস্ব জায়গার ড্রেইন বন্ধ করে রেখে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে রাখেন। বৃহস্পতিবার বিষয়টি সালিশে নিষ্পত্তি হওয়ার কথা ছিল। সালিশ শুরু হওয়ার আগেই সে তার ছেলে ও ভাগনাকে সাথে নিয়ে অস্ত্র দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমরা আহত হলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমরা উদ্ধার হয়েছি।
মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার নিয়ন্ত্রণাধীন শেরপুর ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এসআই শিপু কুমার দাস সংঘর্ষে আহত ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৩জন আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।