পেঁয়াজের দাম ফের কমছে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ৯:৫৪:৪৭ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : ক্রেতা সংকট ও চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে তিন দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। কিছুটা নিম্নমানের পেঁয়াজের দাম আরো কমেছে। খুশি হয়েছে নি¤œ আয়ের মানুষজন। সরবরাহ এভাবে অব্যাহত থাকলে সামনে দাম আরো কমতে পারে বলে দাবি বিক্রেতাদের।বৃহস্পতিবার হিলি বাজার সূত্রে জানা গেছে, সব দোকানেই পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়তি। দামও আগের তুলনায় কমতির দিকে। তিন দিন আগে যে পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল তা বর্তমানে কমে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিছুটা নি¤œ মানের পেঁয়াজ ৪২ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হতে দেখা গেছে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা হায়দার আলী বলেন, বেশ কিছুদিন পেঁয়াজের দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে ছিল। এতে করে আমাদের সুবিধা হচ্ছিল। কম দামে কিনতে পারছিলাম। হঠাৎ কী হলো তিন দিন আগে থেকে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে এবং ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় উঠে যায়। বাধ্য হয়ে যেখানে এক কেজি লাগত সেখানে আধা কেজি কিনেছি। আমাদের আয় রোজগার তো বাড়েনি। এখন অবশ্য কিছুটা দাম কমতে শুরু করেছে। কিন্তু যে হারে বেড়েছিল সেই হারে কমেনি। আমরা চাই আগের মত স্বাভাবিক অবস্থায় পেঁয়াজের দাম আসুক।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল খান বলেন, দেশীয় মুড়িকাটা পেঁয়াজের মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় মোকামে সরবরাহ কিছুটা কমে গিয়েছিল। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমায় দাম বেড়ে যায়। এছাড়া নতুন হালি পেঁয়াজ উঠতে শুরু করলেও সেটির দাম বেশি ছিল। সেই সাথে কৃষক আগামী দিনের জন্য পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে রাখছিল। এতে বাজারে সররবাহ কমে গিয়েছিল। এছাড়া অবৈধ মজুতদাররা বাজার থেকে প্রতিযোগিতামূলক পেঁয়াজ কিনছিল। এর কারণে দাম বাড়ে। বর্তমানে সেই চিত্র পাল্টাতে শুরু করেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, মোকামে পেঁয়াজের ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে। যার কারণে দাম কমেছে। এছাড়া দাম বাড়ায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এর প্রভাবেও অনেকে পেঁয়াজ ছাড়তে শুরু করেছে। এতে মোকামে যে পেঁয়াজ ২ হাজার থেকে ২১শ টাকা মণ ছিল সেটি কমে ১৬শ থেকে ১৭শ টাকায় নেমেছে।