হরিয়ানায় ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে ৩০ শ্রমিক আটক : মমতার চাপে মুক্ত
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ জুলাই ২০২৫, ১০:১৯:১৮ অপরাহ্ন

জালালাবাদ ডেস্ক: বাংলাভাষী হওয়ায় ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে হরিয়ানা রাজ্যের ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক অন্তত ৩০ জন পরিযায়ী শ্রমিককে শেষ পর্যন্ত মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে হরিয়ানা সরকার। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া প্রতিবাদ ও চাপের মুখে এই সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি শাসিত রাজ্যটি।ইতোমধ্যে মালদহের চাঁচল ও হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার ১৫ জন শ্রমিক বাড়ি ফিরে এসেছেন। বাকি ১৫ জনকেও শিগগিরই মুক্তি দিয়ে বাড়ি ফেরানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে হরিয়ানা সরকার ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে পশ্চিমবঙ্গের এসব পরিযায়ী শ্রমিকদের আটক করে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠায় এবং তাদের নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র চেয়ে রাজ্য পুলিশের কাছে চিঠি পাঠায়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাভাষীদের উপর এই অত্যাচার বরদাস্ত করা হবে না। এটা বাংলা ভাষার উপর সন্ত্রাস।’ তিনি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোকে কঠোর বার্তা দিয়ে জানান, শুধু ভাষার ভিত্তিতে কাউকে বাংলাদেশি বানিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো মানেই এক ভয়াবহ বৈষম্য।
এ নিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি বলেন, ‘হরিয়ানা কিংবা দেশের কোথাও অনুপ্রবেশকারীদের জায়গা নেই। দেশের সুরক্ষার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এই ইস্যু নিয়ে ভুল রাজনৈতিক প্রচার করছেন।’তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লাগাতার চাপ ও বিরোধিতার পরিপ্রেক্ষিতেই শেষ পর্যন্ত ধাপে ধাপে শ্রমিকদের মুক্তি দিতে শুরু করেছে হরিয়ানা প্রশাসন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনা শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং ভাষা ও পরিচয় নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিল ভারতের অভ্যন্তরে অভিবাসী বাঙালিদের নিরাপত্তা ও সম্মানজনিত অধিকার নিয়ে।







