আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প-পুতিন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ আগস্ট ২০২৫, ৯:৪৪:৪৬ অপরাহ্ন

জালালাবাদ রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধ বিষয়ে আলোচনার জন্য শুক্রবার আলাস্কায় বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই সামাজিক মাধ্যমে এই ঘোষণা দিয়েছেন। পরে ক্রেমলিন থেকেও তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেছেন, দ্বিতীয় সম্ভাব্য শীর্ষ বৈঠকের জন্য ট্রাম্পকে রাশিয়ায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে ইউক্রেন থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ট্রাম্প শুক্রবার হোয়াইট হাউজে বলেছেন, ইউক্রেনকে কিছু অঞ্চল ছেড়ে দিতে হতে পারে- ট্রাম্পের এমন ইঙ্গিত দেয়ার পরপরই দুই নেতার বৈঠকের ঘোষণা এসেছে। তোমরা একটা ভূখ- চাইছো যা নিয়ে সাড়ে তিন বছর লড়াই হচ্ছে। বহু রাশিয়ান মারা গেছে। বহু ইউক্রেনিয়ানও মারা গেছে।
এটি খুবই জটিল। আমরা কিছু ফেরত পাবো আর কিছু পরিবর্তন করবো। উভয়ের ভালোর জন্যই কিছু অঞ্চল বিনিময় হবে। তবে এই প্রস্তাবনা নিয়ে বিস্তারিত আর কিছু তিনি বলেননি।
যুক্তরাষ্ট্রে বিবিসির সহযোগী সিবিএস নিউজ আলোচনার সাথে জড়িত সূত্রে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, হোয়াইট হাউজ ইউরোপীয় নেতাদের একটি সমঝোতা গ্রহণ করানোর চেষ্টা করছে যেখানে রাশিয়া পুরো দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ থাকবে। পাশাপাশি ক্রাইমিয়াও তাদের বহাল থাকবে। অন্যদিকে প্রস্তাবিত সমঝোতা অনুযায়ী খেরসন ও ঝাপরোজ্জিয়া অঞ্চল তারা ছেড়ে দিবে।
এর আগে শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে বলা হয়েছিলো যে, পুতিন সম্প্রতি ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফের সাথে মস্কোতে এক বৈঠকে একই ধরনের প্রস্তাব দিয়েছেন।
তবে এটা এখনো পরিষ্কার নয় যে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় নেতারা এ ধরনের প্রস্তাবে একমত হবেন কি-না। শান্তির শর্ত নিয়ে ভলোদিমির জেলেনস্কি ও পুতিনের মধ্যে এখন অনেক দূরত্ব রয়েছে। জেলেনস্কি আঞ্চলিক ছাড়ের জন্য যে কোনো পূর্বশর্তকে প্রত্যাখ্যান করে আসছেন।
হোয়াইট হাউজের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা অবশ্য সিবিএসকে বলেছেন, আগামী শুক্রবারের বৈঠকে জেলেনস্কির অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ এখনো আছে।ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসন সত্ত্বেও বড় ধরনের বিজয় অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে মস্কো। তবে তারা এখন ইউক্রেনের ২০ শতাংশ ভূখ- নিয়ন্ত্রণ করছে। ইউক্রেন সেখানে রাশিয়াকে পিছু হটাতে পারেনি।
ইস্তান্বুলে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে তিন দফার সরাসরি আলোচনা যুদ্ধের অবসানে সফল হয়নি। মস্কোর সামরিক ও রাজনৈতিক শর্তগুলোকে কিয়েভ ও তার মিত্ররা কার্যত ইউক্রেনের আত্মসমর্পণ হিসেবে বিবেচনা করছে।







