বৃত্তি পেয়েও অনিশ্চয়তায় ১শ ৩০ ফিলিস্তিনি ছাত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ আগস্ট ২০২৫, ৮:৫৮:১৮ অপরাহ্ন

জালালাবাদ ডেস্ক: বছর দেড়েক আগে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজা উপত্যকার প্রায় ২০০ ছাত্রীকে বৃত্তি দেয় চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন (এইউডব্লিউ)। গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয়টির তালিকায় থাকা ১৮৯ জনকে ভিসা অন অ্যারাইভালের অনুমতি দেয়। গাজা থেকে জর্ডান হয়ে তাদের চট্টগ্রামে পৌঁছানোর কথা ছিল এ বছরের মাঝামাঝি।
তবে গত জুনে চট্টগ্রামের পুলিশ প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানায়, ফিলিস্তিনি ছাত্রীদের আগমনী ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে বৃত্তি পাওয়া ছাত্রীদের পড়াশোনা অনিশ্চিত হয়ে যায়। কূটনৈতিক সূত্র জানায়, এ সময় অন্তত ৩০ ছাত্রীর খোঁজ পাওয়া যায়নি ধারণা করা হচ্ছে ইসরায়েলের হামলায় তাঁরা নিহত হয়েছেন বা অন্য কোথাও চলে গেছেন।
বাকি ১৭১ জনের জন্য আবেদন করলেও অন্তত ১৩০ ছাত্রী এখনো ভর্তি হওয়ার অপেক্ষায়। কূটনৈতিক মহল বলছে, একটি প্রভাবশালী মহল সরকারের বিভিন্ন স্তরে যোগাযোগ করে ছাত্রীদের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে পড়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং বিকল্প বিশ্ববিদ্যালয়ের পরামর্শ দেয়। এ নেপথ্যে ঢাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ছাত্রীদের আনার জন্য সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিষয়টি সুরাহার অনুরোধ জানিয়েছে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে আমিরাতের দূতাবাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে জানায়, ছাত্রীদের গাজা থেকে জর্ডান হয়ে এমিরেটস এয়ারলাইনসের বিশেষ ফ্লাইটে আনা হবে, যা ইউনিসেফের সহায়তায় সমন্বিত হবে।
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান জানান, ফিলিস্তিন সরকারের নীতি অনুযায়ী কেবল স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানোর অনুমতি দেওয়া হয়। অন্যদিকে এইউডব্লিউ–এর প্রতিষ্ঠাতা কামাল আহমেদ প্রশ্ন তুলেছেন কেন ফিলিস্তিনের ক্ষেত্রে এমন ব্যতিক্রম করা হচ্ছে, যখন সিরিয়া, ইয়েমেন বা আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে তা হয়নি।
অপেক্ষমাণ ছাত্রী ও তাঁদের পরিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। এক ছাত্রী বার্তা পাঠিয়ে বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশে এসে পড়াশোনা করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। এখনো কি আশা আছে?’







