ওসমানীতে হচ্ছে বার্ন ইউনিট একনেকে উপস্থাপন আজ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ আগস্ট ২০২৫, ৯:৩০:০৮ অপরাহ্ন
অসস সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে স্থাপিত হচ্ছে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট। শুধু সিলেট নয়, দেশের আরও ৪টি অঞ্চলে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।
শনিবার (১৬ আগসট) পরিকল্পনা কমিশনের দায়িত্বশীল সূত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন ভবন তৈরি হবে। সেই ভবনে পোড়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য আইসিইউ, এইচডিইউ এবং ডেডিকেটেড অপারেশন থিয়েটারসহ সব সুযোগ-সুবিধা মিলে একটি বিশেষায়িত ইউনিট থাকবে।
সূত্রটি জানায়, আজ (রোববার) ১৭ আগস্ট এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জানা যায়, দেশে অগ্নি দুর্ঘটনা বাড়ছে। এসব দুর্ঘটনায় অনেকের প্রাণহানীর ঘটনাও ঘটছে। এ অবস্থায় দেশের ৫টি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নতুন ভবনে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপনের প্রকল্প গ্রহন করা হয় অনেক আগে। তবে মহামারি করোনার কারণে প্রকল্পটি অনুমোদনের আগেই শেষ হয়ে যায় দাতা সৌদি উন্নয়ন তহবিলের সঙ্গে ঋণ চুক্তির মেয়াদ।
এই প্রকল্পটি আবার নতুন করে নকশা পরিবর্তনের মাধ্যমে সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে ব্যয় বাড়ছে ৩৬০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময় ধরা হয়েছে সাড়ে ৬ বছর।
সিলেট বিভাগের এক কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় প্রধান ভরসার স্থান হচ্ছে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সবমিলিয়ে ১২০০ শয্যা থাকলেও এই হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার রোগী ভর্তি থাকেন। এর সঙ্গে অগ্নি দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত বা পোড়ে যাওয়া রোগীর চাপও থাকে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক হিসাব থেকে জানা যায়, ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫ হাজার ৪১৮ জন পোড়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। বছরে গড়ে ১ হাজার ৩০০ পোড়া রোগীর জন্য সিলেটে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট জরুরী হয়ে পড়ে।








