নেপালে চলছে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:২৭:৩৯ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নেপালের প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার দেশব্যাপী দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করার পর আবারও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় নিমজ্জিত হয়েছে দেশটি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া এ আন্দোলনে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছে। দরিদ্র হিমালয় রাষ্ট্রটি আবার এক সড়কবাঁকে এসে দাঁড়িয়েছে। এখন সামনে কী হতে পারে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
এদিকে প্রাণঘাতী বিক্ষোভের পর নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী। রাজধানী কাঠমা-ুর রাস্তায় সেনারা টহল দিচ্ছে ও মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিচ্ছে। অনির্দিষ্টকালের কারফিউ চলাকালে বুধবার নেপালি সেনারা যানবাহন ও পথচারীদের তল্লাশি চালিয়েছে।
গণঅস্থিরতার সময় বিক্ষোভকারীদের একাধিক সরকারি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়া ও প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলিকে পদত্যাগে করতে বাধ্য করার পর রাজধানীকে ‘স্বাভাবিক’ করার প্রচেষ্টায় এই কারফিউ জারি করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধের পদক্ষেপ থেকে সূচিত বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ১৯ জন বিক্ষোভকারী নিহত ও শতাধিককে আহত হওয়ার পর সোমবার থেকে এটি সহিংস রূপ নেয়।
১০ হাজারেরও বেশি মানুষ সোমবার ও মঙ্গলবার কাঠমা-ুর রাস্তায় নেমে আসে। এর পর পরই এই আন্দোলন দুর্নীতি ও বেকারত্ববিরোধী বিক্ষোভে পরিণত হয়, যা গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অস্থিরতা।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রাজা রাম বাসনেত বলেন, আমরা প্রথমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। জনগণের জীবন ও সম্পদের সুরক্ষায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে অলির পদত্যাগের পর সেনাবাহিনী ব্যারাক থেকে বেরিয়ে এলেও রাজধানীতে ক্ষোভ কমার বদলে আরো বেড়েছে।
বিক্ষোভকারীরা মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে এবং সংসদ ভবন, রাষ্ট্রপতির বাড়ি ও কেন্দ্রীয় সচিবালয়ে হামলা চালায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা নেপালি কংগ্রেস নেতা শের বাহাদুর দেউবা ও তার স্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অর্জু রানা দেউবাকে মারধর করছে।
গুলিতে আহত ২২ বছর বয়সী পবিত তান্দুকার বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছিলাম। শুরুতে তারা আমাদের দিকে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করছিল, আমরা প্রতিরোধ করছিলাম। হঠাৎ আমাকে গুলি করা হলো।’
‘নেপো কিডস’ নামে অভিহিত শীর্ষ রাজনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের সন্তানরা যখন টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে বিলাসবহুল জীবনযাপন প্রদর্শন করছে, তখন সাধারণ মানুষকে প্রায় ১১ শতাংশ বেকারত্বের হারের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। এর মধ্যে লাখো মানুষ কাজের সন্ধানে মালয়েশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ কোরিয়ায় অভিবাসন করেছে।
দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে এই বিক্ষোভ। সম্প্রতি বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় যুব নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে সরকার পতনের নজির রয়েছে।
প্রতিবেশী চীন বুধবার এ অস্থিরতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেছেন, নেপালে থাকা চীনা নাগরিকদের ‘নিরাপত্তার দিকে গভীর মনোযোগ দেওয়া উচিত’ এবং বেইজিং আশা করে যে কাঠমা-ু ‘ঘরোয়া সমস্যাগুলো সঠিকভাবে সমাধান করতে পারবে এবং দ্রুত সামাজিক শৃঙ্খলা ও জাতীয় স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করতে পারবে’।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কূটনৈতিক উদ্যোগ ও বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) মাধ্যমে নেপালে প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করে আসছে চীন।প্রাণঘাতী বিক্ষোভের পর নেপালের রাজধানী কাঠমা-ুর রাস্তায় সশস্ত্র সেনারা টহল দিচ্ছে ও মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিচ্ছে।
অনির্দিষ্টকালের কারফিউ চলাকালে বুধবার নেপালি সেনারা যানবাহন ও পথচারীদের তল্লাশি চালায়। গণঅস্থিরতার সময় বিক্ষোভকারীদের একাধিক সরকারি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া ও প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলিকে পদত্যাগে করতে বাধ্য করার পর রাজধানীকে ‘স্বাভাবিক’ করার প্রচেষ্টায় এই কারফিউ জারি করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধের পদক্ষেপ থেকে সূচিত বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ১৯ জন বিক্ষোভকারী নিহত ও শতাধিককে আহত হওয়ার পর সোমবার থেকে এটি সহিংস রূপ নেয়। ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ সোমবার ও মঙ্গলবার কাঠমা-ুর রাস্তায় নেমে আসে। এর পরপরই এই আন্দোলন দুর্নীতি ও বেকারত্ববিরোধী বিক্ষোভে পরিণত হয়, যা গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অস্থিরতা।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রাজা রাম বাসনেত বলেন, ‘আমরা প্রথমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। জনগণের জীবন ও সম্পদের সুরক্ষায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’তবে অলির পদত্যাগের পর সেনাবাহিনী ব্যারাক থেকে বেরিয়ে এলেও রাজধানীতে ক্ষোভ কমার বদলে আরো বেড়েছে। বিক্ষোভকারীরা মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে এবং সংসদ ভবন, রাষ্ট্রপতির বাড়ি ও কেন্দ্রীয় সচিবালয়ে হামলা চালায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা নেপালি কংগ্রেস নেতা শের বাহাদুর দেউবা ও তার স্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অর্জু রানা দেউবাকে মারধর করছে।
গুলিতে আহত ২২ বছর বয়সী পবিত তান্দুকার বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছিলাম। শুরুতে তারা আমাদের দিকে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করছিল, আমরা প্রতিরোধ করছিলাম। হঠাৎ আমাকে গুলি করা হলো।’
‘নেপো কিডস’ নামে অভিহিত শীর্ষ রাজনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের সন্তানরা যখন টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে বিলাসবহুল জীবনযাপন প্রদর্শন করছে, তখন সাধারণ মানুষকে প্রায় ১১ শতাংশ বেকারত্বের হারের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। এর মধ্যে লাখো মানুষ কাজের সন্ধানে মালয়েশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ কোরিয়ায় অভিবাসন করেছে।
দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে এই বিক্ষোভ। সম্প্রতি বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় যুব নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে সরকার পতনের নজির রয়েছে।
প্রতিবেশী চীন বুধবার এ অস্থিরতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেছেন, নেপালে থাকা চীনা নাগরিকদের ‘নিরাপত্তার দিকে গভীর মনোযোগ দেওয়া উচিত’ এবং বেইজিং আশা করে যে কাঠমা-ু ‘ঘরোয়া সমস্যাগুলো সঠিকভাবে সমাধান করতে পারবে এবং দ্রুত সামাজিক শৃঙ্খলা ও জাতীয় স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করতে পারবে’। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কূটনৈতিক উদ্যোগ ও বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) মাধ্যমে নেপালে প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করে আসছে চীন।