আমদানি বৃদ্ধিতে চালের সরবরাহ বেড়েছে
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:৪৪:২৮ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: প্রতিবেশী দেশ থেকে আমদানি হওয়া চালের কারণে রাজধানী ও দেশের অন্যান্য শহরের বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারের দামে, যেখানে গত এক সপ্তাহে প্রতি কেজি চালের দাম ১ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। শুক্রবার বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, দোকানগুলোতে দেশি চালের সঙ্গে আমদানি চালও বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে বিভিন্ন মানের চালের দাম পরিবর্তন হয়েছে। সরু নাজিরশাইল চালের কেজি ৭৬-৮২ টাকা, যা আগে ৮০-৮৬ টাকা ছিল। মিনিকেট চাল ৭৪-৭৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আগের সপ্তাহে ছিল ৭৬-৮২ টাকা। মাঝারি মানের ব্রি-২৮ জাতের চাল ৫৯-৬১ টাকা কেজি, পাইজামের দাম ৫৯-৬০ টাকা কেজি এবং কাজল লতা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা ও গুটি বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৪ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫৪-৫৬ টাকা।
একাধিক চাল ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, প্রতি বস্তায় ৫০ ও ২৫ কেজি চালের দাম ১০০-১৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। যে হারে আমদানির চাল বাজারে আসছে, তাতে দাম আরও কমতে পারে। সরকারের পদক্ষেপ সময়োপযোগী। আগের মতো দাম বাড়লে বিক্রি কমে যেত।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বোরো মৌসুমের শেষে বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তাই সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা ও দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১২ আগস্ট থেকে আমদানিকারকদের ইমপোর্ট পারমিশন (আইপি) দেওয়া শুরু হয়, এরপর ২০ আগস্টের পর ভারত থেকে চাল বাজারে আসে।
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২১ আগস্ট থেকে আড়াই হাজার টনের বেশি চাল আমদানি হয়েছে। গনি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আব্দুস সামাদ বলেন, ভারত থেকে চাল আমদানি বেড়ে যাওয়ায় বাজারে দাম কমেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে দাম আরও কমবে।
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী আমন মৌসুমের আগে বাজার স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারিভাবে ৫ লাখ টন চাল আমদানি করা হবে। এছাড়া সরকারি সংস্থার মাধ্যমে ৪ লাখ টন চাল ভর্তুকিমূল্যে বিক্রি হবে।






