শাবিতে ‘সামাজিক আচরণগত পরিবর্তন’ শীর্ষক কর্মশালা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:২৭:০২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সামাজিক আচরণগত পরিবর্তন’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ^বিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ও ইউনিসেফ যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
শাবিপ্রবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. সাজেদুল করিমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মাছুমা হাবিব এবং শাবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ইসমাইল হোসেন।
সভাপতির বক্তব্যে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. সাজেদুল করিম বলেন, আমাদের সকল বিভাগে ঙঁঃপড়সব ইধংবফ ঊফঁপধঃরড়হ (ঙইঊ) কারিকুলাম চালু আছে। কিছু বিভাগে শিক্ষক সংকট থাকার কারণে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। এসব বিভাগে শিক্ষকরা অনেক কষ্ট করে কাজ করে যাচ্ছেন। আচরণগত পরিবর্তন একটি খুবই ভালো ধারণা। আমি মনে করি, আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন। আপনাদের এই পদক্ষেপ দেশের সামগ্রিক শিক্ষার পরিবেশে কল্যাণ বয়ে আনবে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, এসবিসি কারিকুলামের উন্নয়নের জন্য তিনি যোগাযোগ দক্ষতা এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর চাহিদা অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন। এ বিষয়ে ইউজিসি ইউনিসেফ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহায়তায় একটি কারিকুলাম টেমপ্লেট প্রণয়ন করে বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। তিনি আরও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে রয়েছে। শাবিপ্রবিকে নিয়ে আমি গর্ব করি।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মাছুমা হাবিব সামাজিক ও আচরণগত পরিবর্তন নিয়ে কারিকুলাম তৈরির উদ্যোগ অত্যন্ত সময়োপযোগী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তাদের চাহিদা এবং এ সংক্রান্ত ইউজিসির গাইডলাইন অনুসরণ করে এসবিসি কারিকুলাম প্রণয়নের পরামর্শ দেন। তিনি আরও বলেন, আমরা প্রায়ই অভিযোগ করি যে আমাদের শিক্ষার্থীরা কথা শুনছে না। এই বিচ্যুতিগুলো দূর করার জন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ইসমাইল হোসেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে আগত সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সমাজকর্ম, সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।






