৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ আমদানি জুলাইয়ে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:১৮:২৬ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : চলতি বছরের জুলাইয়ে দেশের আমদানি তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। মূলত ডলার সংকট কাটিয়ে ওঠা ও আমদানি নীতি শিথিলতা করার কারণে এই প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সংকলিত তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ে আমদানিকারকরা ৬ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছেন। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।
এর আগে, ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল। এরপর থেকে আমদানি কমতে থাকে, যা এ বছর আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বছর জুলাইয়ে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কারণে বাণিজ্য অনেকটা থমকে গিয়েছিল। তাই এবার স্বাভাবিক ব্যবসা ফিরেই আমদানিতে বড় বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। আমদানির এই বৃদ্ধির মূল কারণ হলো বেশি করে কাঁচামাল আনা। যেমন তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল, লোহা, ইস্পাতসহ অন্যান্য ধাতু ও যন্ত্রপাতি।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজর (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, আমদানি তথ্যে দেখা যায়, দেশে ভোক্তা পণ্যের চাহিদা কমছে, সম্ভবত দাম বেশি থাকার কারণে। কিন্তু মূলধনী যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি বাড়ছে। এতে বোঝা যায়, আমদানি নিয়মকানুন কিছুটা সহজ হয়েছে ও ২০২৪ সালের জুলাইয়ের রাজনৈতিক সমস্যা ও বন্ধ থাকার পর অর্থনীতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। তিনি আরও বললেন, কাঁচা তুলার আমদানি কমছে, কিন্তু সুতার আমদানি বাড়ছে, যার মানে স্থানীয় কারখানাগুলোর বাজার অংশ কমছে।







