স্টোন ক্রাশার খুলে দেওয়ার দাবি ব্যবসায়ীদের
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:১৯:৪৭ অপরাহ্ন
সিলেটের ধোপাগুল এলাকায় অবস্থিত শতাধিক স্টোন ক্রাশার মেশিন খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিমানবন্দর থানা পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দ। শনিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ দাবি জানান। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সভাপতি কবির আহমদ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিগত চার মাস ধরে সিলেটের ধোপাগুল এলাকার স্টোন ক্রাশারগুলো প্রশাসনিক উদ্যোগে বন্ধ করে দেয়া হয়। স্থানীয়ভাবে আহরিত পাথর তথা সাদাপাথর বিপননের অভিযোগে এখানকার ক্রাশার মেশিন সমূহের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তা অকেজো করে দেয়া হয়। এর ফলে এ অঞ্চলে পাথর সংশ্লিষ্ট হাজারো শ্রমিক ব্যবসায়ী তাদের রোজগার হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েন।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রের পাথর লুটে সদর উপজেলার ধোপাগুল এলাকার ব্যবসায়ীরা জড়িত ছিলেন না। ধোপাগুল এলাকায় স্থানীয়ভাবে আহরিত কিছু পাথর সংরক্ষণ করা হয়। প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে ধোপাগুলের ব্যবসায়ীরা স্ব উদ্যোগে এসব পাথর ফিরিয়ে দেন। তাছাড়া প্রশাসনিক উদ্যোগেও কিছু পাথর ভোলাগঞ্জে ফিরিয়ে নেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ধোপাগুল এলাকায় অবস্থিত শতাধিক স্টোন ক্রাশার মেশিনে হাজারো ব্যবসায়ী শ্রমিকের জীবীকা নির্ভরশীল। যুগযুগ ধরে এ অঞ্চলের স্টোন ক্রাশারে এসব মানুষগুলো কাজ করে পরিজন নিয়ে জীবীকা নির্বাহ করে আসছেন। এগুলো বন্ধ করে দেয়ায় এ শিল্পের ওপর নির্ভরশীল হাজারো শ্রমিক ব্যবসায়ী রোজগার বঞ্চিত হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ব্যাংক ঋণ নিয়ে দেউলিয়া হয়ে অনেক ব্যবসায়ী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, ভারত থেকে আমদানীকৃত এলসি পাথর ক্রাশিং ও বিপননে প্রশাসনিক কোনো বাঁধা নেই। ধোপাগুল এলাকার ক্রাশার মেশিনগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় আমদানীকৃত পাথর বিপনন করা সম্ভব হচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে পাথর ব্যবসায়ীরা আরও উল্লেখ করেন, ধোপাগুল এলাকায় অবস্থিত স্টোন ক্রাশার সমূহের ওপর নির্ভরশীল মানুষেরা বর্তমানে রোজগার বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। রোজগার বঞ্চিত অভাবি মানুষগুলোর কোনো বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় এ অঞ্চলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দেয়ার আশংকা রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে মানবিক কারণে ধোপাগুল এলাকার স্টোন ক্রাশার মেশিনগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপনের মাধ্যমে তা সচল করার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী নেতা শাব্বির আহমদ, রাজন আহমদ, শাহেদ আহমদ, সুহেল আহমদ, কাজী ফরহাদ, মাসুক আহমদ, আবদুল হান্নান, আমিনুর রহমান, হাবিবুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম মুন্না, রিমু আহমদ, জিয়াউর রহমান, শাহীন আহমদ, আবুল কালাম আজাদ মামুন, সুমন দত্ত, লোকমান হোসেন, বুলবুল আহমদ, লিটন দাস, গোপীরঞ্জন তালুকদার, বাহারুল ইসলাম, ফয়জুল আহমদ, শামীম আহমদ, হারিছ মোল্লা, সুজন মিয়া প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি