অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন বিশ্ব নেতাদের
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:৩৩:২৫ অপরাহ্ন

জালালাবাদ ডেস্ক: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। তারা এই সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন। শুক্রবার নিউ ইয়র্কে হোটেল স্যুইটে একাধিক আন্তর্জাতিক নেতা একত্রিত হয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি এই সমর্থন ব্যক্ত করেন। তারা বাংলাদেশের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সব ধরনের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন।
এই সভায় নেতৃত্ব দেন লাটভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ভাইরা ভিকে-ফ্রাইবারেগা, যিনি নিজামী গঞ্জাভি আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের (এনজিআইসি) কো-চেয়ারও। বিশ্বনেতাদের এই প্রতিনিধিদলে স্লোভেনিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বরুট পাহোর, সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বোরিস তাদিচ, লাটভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এগিলস লেভিটস, ইউরোপীয় পরিষদের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বেলজিয়ামের সাবেক প্রধানমন্ত্রী চার্লস মিশেল, গ্রিসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপানড্রেউ, বুলগেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট রোজেন প্লেভনেলিভ এবং পেটার স্টোয়ানভ, ক্রোয়েশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট আইভো জোসিপোভিচ, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার সাবেক প্রেসিডেন্ট ম্লাডেন ইভানিক এবং মৌরিশাসের সাবেক প্রেসিডেন্ট আমিনাহ গুরিব-ফাকিম, কমনওয়েলথের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জর্জিয়ার সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চার সাবেক প্রেসিডেন্ট, বেশ কয়েকজন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিশ্বব্যাংকের সাবেক উপ-সভাপতি ও এনজিআইসির কো-চেয়ার ইসমাইল সেরাজেলদিন, রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটসের প্রেসিডেন্ট কেরি কেনেডি এবং আইএইএ ও জর্জটাউন ইনস্টিটিউট ফর উইমেন, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটির সিনিয়র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তারা ১৬ বছরের দুর্নীতি ও শোষণের পর দেশের যে গুরুতর চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা-ও উল্লেখ করেন। কয়েকজন নেতা আন্তর্জাতিক সাহায্য প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন।
একজন আন্তর্জাতিক নেতা বলেন, “আমরা এখানে আপনার এবং বাংলাদেশের জনগণের পাশে আছি। আমরা সম্পূর্ণভাবে আপনার সমর্থনে।”আরেক নেতা বলেন, “আমরা আপনার সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। যেকোনো দিকনির্দেশনা বা সমর্থন দরকার হলে আমাদের শুধু জানান।”সভায় কেরি কেনেডি বাংলাদেশের মানবাধিকার অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, “মানবাধিকারের ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি করেছেন তা অসাধারণ।” জর্জটাউন ইনস্টিটিউট ফর উইমেন, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটির নির্বাহী পরিচালক মেলান ভেরভিয়ার জানান, ইনস্টিটিউট শীঘ্রই বাংলাদেশের জুলাই বিপ্লবের সমর্থন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবে।
এনজিআইসি-এর কো-চেয়ার ইসমাইল সেরাজেলদিন ড. ইউনূসকে বলেন, ‘আপনাদের প্রয়োজনে আমরা আছি।”এসময় অধ্যাপক ইউনূস বিশ্ব নেতাদের সমর্থনের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “এটি একেবারে অপ্রত্যাশিত। আপনাদের একত্রিত হয়ে আমাদের পাশে দাঁড়ানো এটি অবিশ্বাস্য। আমি সত্যিই মুগ্ধ।” তিনি তার প্রশাসনের চ্যালেঞ্জকে একটি বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, “এই দেশ ১৫ বছর ধরে এক ধরনের ভূমিকম্পের মধ্য দিয়ে গেছে। এর মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৯।”
ড. ইউনূস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সাধারণ নির্বাচনে সমর্থনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা আপনার দিকনির্দেশনা, সমর্থন এবং নৈতিক শক্তি চাই।’







