অভিন্ন কর্মসূচীতে আবার মাঠে জামায়াতসহ ৬টি দল
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ অক্টোবর ২০২৫, ৯:১৯:২০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনসহ কয়েকটি অভিন্ন দাবিতে আবার মাঠে নামলো জামায়াতে ইসলামীসহ ছয়টি দল। গতকাল থেকে তাদের কর্মসূচীও শুরু হলো। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে গণসংযোগ, গণমিছিল ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া।দলগুলো হলো জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)। এ ছাড়া প্রায় একই দাবিতে আন্দোলনে থাকা খেলাফত মজলিস ৪ অক্টোবর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
একই দাবিতে প্রথম দফায় রাজধানীসহ সারা দেশে দলগুলো সেপ্টেম্বরের ১৮, ১৯ ও ২৬ তারিখে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। চার দিনের মাথায় মঙ্গলবার দলগুলো আলাদা সংবাদ সম্মেলন ও গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে নতুন কর্মসূচির কথা জানায়।
১০ অক্টোবর ঢাকায় ৬টি দলের গণ-মিছিল :
জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও জাগপা গতকাল বুধবার থেকে গণসংযোগ শুরু হয়। চলবে ১ ৯ অক্টোবর পর্যন্ত। এ উপলক্ষে মতবিনিময় সভা, গোলটেবিল বৈঠক, সেমিনার করবে দলগুলো। নেজামে ইসলাম পার্টি গণসংযোগ, প্রচারপত্র বিতরণ ও জনমত তৈরির কর্মসূচি পালন করবে ২ থেকে ৯ অক্টোবর। আর খেলাফত আন্দোলন প্রচারপত্র বিলি, গণসংযোগ ও মতবিনিময় কর্মসূচি পালন করবে। তবে গতকাল এ বিষয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করেনি।
১০ অক্টোবর রাজধানীসহ সব বিভাগীয় শহরে ছয়টি দলের পৃথক গণমিছিল কর্মসূচি রয়েছে। এর মধ্যে খেলাফত আন্দোলন ও নেজামে ইসলাম পার্টির কর্মসূচি শুধু ঢাকায়। ১২ অক্টোবর সারা দেশে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করবে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও জাগপা।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারপ্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। সরকারপ্রধান এতে সাড়া দিয়ে জামায়াতকে বৈঠকে ডাকলে সেখানে দলের যুক্তি উপস্থাপন করা হবে। আলোচনার টেবিলে এ বিষয়ের একটা নিষ্পত্তি হতে পারে, সে সুযোগও রয়েছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, সরকার তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছে, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তাদের নিবন্ধন স্থগিত হয়ে আছে। ফলে আওয়ামী লীগের আগামী নির্বাচনে আসার কোনো সুযোগই নেই।