৩৫ বছরের অপেক্ষা শেষে আজ রাকসুর ভোট
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৯:৫১:৫৮ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার : দীর্ঘ ৩৫ বছরের অপেক্ষার পর আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন হতে যাচ্ছে।দিনটিকে সামনে রেখে বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. এফ. নজরুল ইসলাম নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি ও নানা দিক তুলে ধরেন।
এসময় তিনি বলেন, একটি অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়ার লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নির্বাচনের প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। তিনি বলেন, ১৭টি কেন্দ্রের ফলাফল সর্বোচ্চ ১৭ ঘণ্টার মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে।
লিখিত বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, তাঁরা আনন্দের সঙ্গে জানাতে চান, নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। প্রতিটি ধাপে নির্বাচনকে বিতর্কমুক্ত রাখতে তাঁরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন।
এবারের রাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০১ জন, যাদের মধ্যে ৩৯ দশমিক ১ শতাংশ নারী এবং ৬০ দশমিক ৯১ শতাংশ পুরুষ। ৯টি একাডেমিক ভবনে স্থাপিত ১৭টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে।
রাকসুর ২৩টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন ৩০৫ জন প্রার্থী। সিনেটের পাঁচটি পদের জন্য প্রতিদ্ব›দ্বী ৫৮ জন। এছাড়া, ১৭টি আবাসিক হল সংসদের ২৫৫টি পদের বিপরীতে ৫৫৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন।
নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন একজন প্রধান রিটার্নিং অফিসার, ছয়জন রিটার্নিং অফিসার ও ১৭ জন প্রিসাইডিং অফিসার (শিক্ষক)। এছাড়াও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে রয়েছেন ১৯৫ জন শিক্ষক ও পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৯১ জন কর্মকর্তা ।
নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নেওয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোতায়েন থাকবে ২ হাজার পুলিশ সদস্য, ছয় প্লাটুন বিজিবি, ১২ প্লাটুন র্যাব। ক্যাম্পাসের সর্বত্র থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি।
ভোট গ্রহণে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও ভোট গণনা ও ফলাফল প্রস্তুতির জন্য একটি অভিজ্ঞ ও নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সালের পর এই প্রথম রাকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন পর শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে রাকসু কার্যকর হতে চলেছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।







