পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান হত্যা : রায়ের তারিখ ঘোষণা হতে পারে কাল
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ৮:৪৬:২২ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের বন্দরাবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে বহুল আলোচিত রায়হান আহমদ হত্যা মামলায় পলাতক পাঁচ আসামির পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হয়েছে। তবে কারাগারে থাকা একমাত্র আসামি এএসআই আশেক আলীর পক্ষে চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক শেষ না হওয়ায় আদালত তা স্থগিত করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) পরবর্তী যুক্তিতর্কের দিন ধার্য করা হয়েছে।বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ মুন্সী আব্দুল মজিদের আদালতে এ যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট বদরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি জানান, পলাতক পাঁচ আসামির বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হলেও আসামি পক্ষ সময় প্রার্থনা করায় বিচারক পরের দিন পুনরায় শুনানির সময় নির্ধারণ করেন। যুক্তিতর্ক শেষ হলে আদালত রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করবেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, হত্যা মামলার প্রধান আসামি বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া চলতি বছরের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে জামিন পান এবং ১০ আগস্ট কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন। পরবর্তীতে তার জামিন স্থগিত হলেও তিনি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি এবং এখনও পলাতক রয়েছেন।
২০২০ সালের ১০ অক্টোবর রাতে সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে রায়হান আহমদকে তুলে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। পরদিন (১১ অক্টোবর) তার মৃত্যু হয়। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর রায়হানের স্ত্রী পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন। তদন্তে নির্যাতনের সত্যতা মিললে এসআই আকবরসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।
পরবর্তীতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কনস্টেবল হারুনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে এবং ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর কানাইঘাট সীমান্ত এলাকা থেকে প্রধান আসামি আকবরকে আটক করে। ২০২১ সালের ৫ মে পিবিআই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়, যেখানে ছয়জনকে আসামি করা হয়—এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস, এসআই হাসান উদ্দিন এবং আবদুল আল নোমান।
একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। ৬৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বর্তমানে চলছে চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক। আজ বৃহস্পতিবারের শুনানিতে যুক্তিতর্ক শেষ হলে রায় ঘোষণার অপেক্ষায় থাকবে এ বহুল আলোচিত মামলা।





