স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৩ লাখ, পায়নি সাড়ে ৭ লাখ শিক্ষার্থী
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮:৪৬:২১ অপরাহ্ন

জালালাবাদ ডেস্ক : দেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, প্রথম প্রকাশিত তালিকায় পছন্দের স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৪৯৯ জন। এরমধ্যে সরকারি স্কুলে প্রথম তালিকায় স্থান পেয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৫২১ জন। আর বেসরকারি স্কুলে প্রথম তালিকায় নির্বাচিত হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭৮ জন।
ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ বছর ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করেছিল ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৪ জন শিক্ষার্থী। ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৪৯৯ জন। আবেদন করেও পছন্দের স্কুল পায়নি ৭ লাখ ৫০ হাজার ৫৫৫ জন। এদিকে, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলিয়ে মোট শূন্য আসন ছিল ১১ লাখ ৯৩ হাজার ২৮১টি। সেখানে ফাঁকাই থেকে যাচ্ছে ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৭৮২টি আসন।
তথ্য মতে, সরকারি স্কুলে শূন্য আসন ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ৩০টি। বিপরীতে আবেদন করে ৭ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৪ জন। নির্বাচিত হয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৫২১ জন। ফলে সরকারি স্কুলে আসন শূন্য থেকে যাবে ১৩ হাজার ৫০৯টি। অন্যদিকে বেসরকারি স্কুলে শূন্য আসন ছিল ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৫১টি। এর বিপরীতে আবেদন করে তিন লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ জন। তবে লটারিতে স্কুলে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭৮ জন। ফলে বেসরকারি স্কুলে আসন শূন্য থেকে যাবে ৮ লাখ ৭৪ হাজার ২৭৩টি আসন।
ভর্তি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেক স্কুলে কোনো আবেদনই জমা পড়েনি। স্বল্পসংখ্যক স্কুলে ভর্তিতে আগ্রহ বেশি শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের। ফলে আসন শূন্য থাকলেও সেসব স্কুলের নাম পছন্দের তালিকায় নেই। ফলে সেসব স্কুলে আসন শূন্যই থেকে যাচ্ছে।
লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের স্কুলে ভর্তি শুরু ১৭ ডিসেম্বর : সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ১৭ ডিসেম্বর। এ প্রক্রিয়া চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নির্বাচিত তালিকা থেকে ভর্তি শেষে আসন শূন্য থাকলে প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ করা হবে। একই সঙ্গে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সব ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশের পর নির্বাচিতদের তালিকা এবং প্রথম ও দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা এরইমধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচিতদের তালিকা থেকে ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে হবে। আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি নিতে হবে। এরপরও আসন ফাঁকা থাকলে ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি করাতে হবে।





