আহলান সাহলান মাহে রমজান
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ মার্চ ২০২৫, ১২:৫০:২০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: রহমতের দ্বিতীয় দিন শান্তিপূর্ণভাবে অতিবাহিত করবার পর আজ তৃতীয় দিনে আমরা পদার্পন করলাম। রমজান মাস বেশি বেশি করে ইবাদাত বন্দেগীর মাস। তাই এ মাসে রোজা পালনের পাশাপাশি ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদাত বন্দেগীর পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। আর এ নিয়ে হাদিসেও যথেষ্ট উৎসাহিত করা হয়েছে। হাদিসে বলা হয়েছে রমজান মাসে একটি নফল ইবাদাত করলে তা অন্য মাসের ফরজ ইবাদাতের মতো সওয়াব পাওয়া যায় আর একটি ফরজ পালন করলে তা ৭০ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং মসজিদগুলো এ মাসে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেয়। পুরো রমজান মাস জুড়ে মাসব্যাপী এসব কর্মসূচি অব্যহত থাকে। আর এসব কর্মসূচির মূল কেন্দ্র হিসেবে থাকে সঠিকভাবে কুরআন শিক্ষা। সঠিক ভাবে কুরআন শিক্ষা দেওয়ার জন্য বয়স্ক কুরআন শিক্ষা, মহিলা কুরআন শিক্ষা এবং সাধারণ কুরআন শিক্ষা যা কিনা সাধারণত শিশু কিশোরদের জন্য আয়োজন করা হয়ে থাকে। বাসাবাড়িতে নারীরা সাধ্যমতো বছরের অন্য সময়ের চেয়ে এসময় ইবাদাত বন্দেগী বিশেষকরে কুরআনের চর্চা বাড়িয়ে দেন।
দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা রেওয়াজ অনুযায়ী আমাদের দেশে রমজান মাস এলে সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে অনেক সুযোগ করে দেওয়া হয়। ছাড় দেওয়া হয়। অফিস আদালতে সময় একমাসের জন্য আলাদা করে সাজানো হয়। কাজকর্মে কঠোরতা অনেকটা শিথিল করা হয়।
আর এই সুযোগে অনেকেই যারা সারাবছর যেভাবে আল্লাহর ইবাদাত বন্দেগী বিশেষকরে নফল ইবাদাতের সুযোগ পান না তারা ইবাদাত বন্দেগীর সুযোগ পান। মসজিদগুলোতে এসময় অনেকটা সাজ সাজ রব দেখা যায়।
তবে দুঃখের বিষয় অনেকেই মুসলমানদের রমজানের এই বাড়তি উৎসাহ আর আগ্রহ বিশেষকরে বেশি করে মসজিদমুখী হওয়াকে বিদ্রুপ করে মৌসুমী, সুযোগসন্ধানী কিংবা সিজনাল মুসল্লী বলে থাকেন। এটা কোনোভাবেই ঠিক নয়। কেননা রমজান মাসে বেশি বেশি ইবাদাত করতে ইসলামই তো উৎসাহিত করেছে। ইবাদাতের সওয়াব বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাই এই বিষয়টি আমাদের ইতিবাচকভাবেই নেওয়া উচিত। কারণ আমরা জানি না কে সিজনাল আর কে রমজানের মাস উপলক্ষে সুযোগ পেয়ে বাড়তি ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল। এই বিষয়টি যেহেতু আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত তাই এটি আল্লাহর দিকেই দিয়ে দেওয়া ভালো। আল্লাহ এ ব্যাপারে ভালো জানেন, তিনিই এর প্রতিদান দেবেন।
আমরা যা করতে পারি তা হলো যারা রমজানে ইবাদাত বাড়িয়ে দেন তাদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি নিজেদের মাঝেও এর চর্চা করা। সবার মাঝে যাতে এর সুন্দর ধারাবাহিকতা থাকে তার জন্য দোয়া করা। আর এভাবেই আমাদের মধ্যে ইতিবাচক চিন্তা ও কাজের প্রতিফলন ছড়িয়ে পড়বে। ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে।