বায়ুদূষণে ১২৫ নগরীর শীর্ষে ঢাকা, সিলেটেরও অস্বাস্থ্যকর বায়ুমান
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৪:৩২ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট: বিশ্বের ১২৫ নগরীর মধ্যে গতকাল সোমবার সকালে বায়ুদূষণে ঢাকা ছিলো শীর্ষে। সোমবার সকাল ৯টার দিকে আইকিউএয়ারের মানসূচকে ঢাকার গড় বায়ুমান ২০১। এ মানকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।
আইকিউএয়ারের দেওয়া সতর্কবার্তায় ঢাকাবাসীর উদ্দেশে পরামর্শ, বাইরে বের হলে সুস্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না। আরও একটি পরামর্শ, ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে। গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এক দিনও নির্মল বায়ু পাননি রাজধানীবাসী। চলতি মাসেরও একই হাল। গতকাল অন্য বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামে বায়ুর মান ১৫১, রাজশাহীতে ১৬২ ও খুলনায় ১৭১। প্রতিটি শহরের বায়ুমান অস্বাস্থ্যকর। সিলেটের বায়ুমানও ১৫৮ এর কাছাকাছি অর্থাৎ অস্বাস্থ্যকর।
রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকাগুলোর মধ্যে যেসব এলাকায় বায়ুর মান মারাত্মক দূষিত, সেগুলোর মধ্যে আছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস (৪৯৭), মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং (৩৩২) ও মাদানি এভিনিউয়ের বে’জ এজওয়াটার (২৮০)। রাজধানীর বায়ুদূষণের প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে আছে কলকারখানা ও যানবাহনের দূষিত ধোঁয়া, ইটভাটা, বর্জ্য পোড়ানো। দূষণ রোধে হাঁকডাক এবং নানা ধরনের প্রকল্পও কম হয়নি সরকারি স্তরে, কিন্তু দূষণ কমছে না।
দূষণসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ক্যাপসের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে যত বায়ুদূষণ ছিল, তা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ। আবার গত জানুয়ারিতে দূষণের মান ছিল ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে প্রায় ২৫ গুণ বেশি।