ঈদ বাজার: শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত নগরী
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ মার্চ ২০২৫, ১১:৩০:০৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: আজ চাঁদ দেখা গেলে কাল ঈদ। তাই শেষ মুহূর্তের ঈদ বাজারে ব্যাপক ব্যস্ত নগরী। রাস্তা থেকে দোকানপাট কোথাও যেন পা ফেলার জায়গা নেই। শনিবার বিকেল থেকে নগরীর প্রতিটি রাস্তা ও দোকানপাটে ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। হকার নিষিদ্ধ থাকলেও তারা ফুটপাত দখল করে রাস্তার অর্ধেকের বেশি দখল করে নিতে দেখা গেছে। রাস্তা দখলের ফলে পুরো শহর জুড়ে ছিল তীব্র যানজট। ফুটপাত না পেয়ে পথচারীদের রাস্তাদিয়ে হেঁটে যেতে হয়েছে। বিকেল থেকে সেহরী পর্যন্ত চলে কেনাবেচা।
সরেজমিন নগরীর বিভিন্ন বিপনী বিতান ও এলাকা ঘুরে দেখা যায় বিপুলসংখ্যক ক্রেতা ঈদের কেনাকাটা করছেন। শিশু, নারী, তরুণ ও তরুণীরা ঈদ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন পোশাক দেখছেন। ঈদবাজারে নারী ক্রেতাদের বেশি ঝোঁক বাহারি থ্রি-পিসে। এছাড়া ঢাকাইয়া জামদানি, রাজশাহী সিল্ক, রাজগুরু, শান্তিপুরী কাতান ও টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়িও বিক্রি হচ্ছে বেশ। প্রসাধনী কিনতে কসমেটিকসের দোকানগুলোতেও ভিড় জমাচ্ছেন নারীরা। কেনাকাটা করতে আসা শাহানুর বলেন, তিনি এবার পছন্দমতো একটি থ্রি-পিস কিনেছেন। অপরদিকে সুবর্ণা আক্তার বলেন, এবারের ঈদবাজারে প্রায় সব দোকানেই পছন্দসই পোশাক পাওয়া যাচ্ছে।
শুরুতে ঈদের বাজারে নারীদের আধিক্য থাকলেও শেষদিকে এসে পুরুষ ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে। নারীরা বিকেল থেকে রাত ১১/১২টার মধ্যে কেনাকাট সারলেও পুরুষরা অনেকে সেহরী পর্যন্ত বিভিন্ন দোকানে ঘুরতে দেখা গেছে। নগরীর আম্বরখানার শামীম আহমেদ বলেন বৃহস্পতিবার বেতন পেয়ে শনিবার বাজার করতে এসেছেন। এর আগে পরিবারের লোকদের জন্য ঋণ করে ঈদের বাজার সেরেছেন। মাসের শেষ হওয়ায় হাতে টাকার টান ছিল আবার বেতন পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় থাকায় নিজের বাজার করতে পারেন নি। বেতন পেলেও কোনো বোনাস পাননি। তাই কমের মধ্যে একটি পাঞ্জাবি কিনে ঈদের বাজার সারবেন।
নগরীর কুমারপাড়ায় ইয়লো ফ্যাশন হাউসে কথা হয় তুহিন আহমদ নামে এক ক্রেতার সাথে। তিনি বলে সোমবার ঈদ হওয়ার সম্ভাবনা তাই আজ পাঞ্জাবি কিনতে এসেছি। শুরুর দিকে নারীদের ভিড় বেশি ছিল মার্কেটে তাই বের হইনি। তাছাড়া শেষ দিকে এসে তাদের কসমেটিকস পন্যেরও ভালো চাহিদা থাকায় সন্ধ্যার পর নারীদের ভিড় বেশি থাকে। তাই শেষ রাতের দিকে এসেছি।
এদিকে নগরীর বিভিন্ন বিপনী বিতানের পাশাপাশি ধুমধাম বেচাকেনা চললে ফুটপাতেও। ফুটপাতে হকার বসা নিষেধ থাকলেও দুপুরের পর থেকেই ফুটপাত চলে গেছে হকারের দখলে। বিকেল থেকে ফুটপাত ছাড়িয়ে রাস্তার অর্ধেকও দখল করে ব্যবসা করছেন হকাররা। নগরীর সুরমা পয়েন্ট থেকে কোর্ট পয়েন্ট হয়ে চৌহাট্টা পর্যন্ত রাস্তা সবচেয়ে বেশি হকারদের দখলে। এতে একদিকে যেমন যান চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে অপরদিকে ফুটপাত না পেয়ে পথচারীদের রাস্তার মাঝ দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে। রাস্তা ও ফুটপাত দখলে থাকায় এই রাস্তায় দীর্ঘ সময় যানজট লেগেছিল। কর্তব্যরত ট্রাফিকদের এসময় শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে দেখা যায়।