তীব্র তাপপ্রবাহ, আসহনীয় গরম
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ মে ২০২৫, ১০:০১:০৪ অপরাহ্ন
চুয়াডাঙ্গায় ৪২ ডিগ্রী, প্রভাব সিলেটেও
স্টাফ রিপোর্টার : অসহনীয় তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। তাপপ্রবাহের কারণে বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পিচ গলে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মানুষের পাশাপাশি প্রাণিকুলেরও হাঁসফাঁস অবস্থা।
খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে তাপপ্রবাহ সবচেয়ে বেশি। এর সঙ্গে চট্টগ্রাম, বরিশাল বিভাগেও তাপপ্রবাহ আছে। এর প্রভাবে সিলেটসহ অন্যান্য বিভাগে তাপপ্রবাহ অনুভূত হচ্ছে। এই তাপপ্রবাহ আগামীকাল সোমবার ধীরে ধীরে কমে আসতে পারে। ওই দিন থেকে বৃষ্টি ও কালবৈশাখী হতে পারে।
শনিবার মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
সিলেট, সুনামগঞ্জসহ আশেপাশের এলাকা ছাড়া অনেক এলাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ওপরে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই তাপপ্রবাহ আরও একদিন অব্যাহত থাকতে পারে। সিলেটে গতকাল তাপমাত্রা রেকর্ড করা ৩৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর এই পূর্বাভাস দিয়েছে। আগামী ১৩ মে পর্যন্ত আবহাওয়া পরিস্থিতির কথা জানিয়েছে অধিদপ্তর। তাতে বলা হয়েছে, শনিবার সারা দেশে তাপপ্রবাহ চলমান থাকবে এবং রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেটে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে।
আজ রোববার দিনে ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে পারে। কিছু জায়গায় তাপপ্রবাহ প্রশমিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এর পরের দুই দিন সোম ও মঙ্গলবারেও একই প্রবণতার কথা জানানো হয়েছে। তবে তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ থেকে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে তাপপ্রবাহ এখন সবচেয়ে বেশি। এর সঙ্গে চট্টগ্রাম, বরিশাল বিভাগেও তাপপ্রবাহ আছে। যার প্রভাব ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে তাপপ্রবাহ অনুভূত হচ্ছে।
তাপপ্রবাহ কমে আসা প্রসঙ্গে এই আবহাওয়াবিদ জানান, কাল ১২ মে সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে ধীরে ধীরে তাপপ্রবাহ ১৮ বা ১৯ মের মধ্যে কমে আসতে পারে। এই সময়ে কালবৈশাখীরও সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, প্রচন্ড গরমে জনজীবন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। দিনের বেশিরভাগ সময় রাস্তাঘাট প্রায় জনশূন্য থাকছে, যানবাহন চলাচলও কমে গেছে। খেটে খাওয়া দিনমজুর, কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষজন জীবিকার তাগিদে বাইরে বের হলেও গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন। কাজের অভাবে অনেকে অলস সময় কাটাচ্ছেন, আবার কেউ কেউ কাজ পেলেও গরমে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। শহরের বিভিন্ন স্থানে শরবতের দোকানে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।