বড়লেখায় বন্যার পানিতে নষ্ট ২৩৪ বস্তা চাল মাটি চাপা
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ জুন ২০২৫, ৬:৩৯:৪০ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি:
বড়লেখা পৌরসভা হলরুম আকস্মিক বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে যায়। বন্যার পানি ঢুকে ভিজে নষ্ট বিতরণ অনুপযোগি ভিজিএফের ২৩৪ বস্তা চাল অবশেষে মাটি চাপা দিল পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। গত রোববার বিকেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারি, ব্যবসায়ী ও গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে ৭ মেট্টিক টন পঁচা চাল গর্ত খুঁড়ে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। পঁচা চালের দুর্গন্ধে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারি ও আগত সেবাগ্রহীতারা দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছিলেন।
জানা গেছে, গত ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণের জন্য বড়লেখা পৌরসভার অনুকুলে প্রায় ৩১ মেট্টিক টন (১০২৭ বস্তা) ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেয় জেলা প্রশাসন। গত ২৯ মে খাদ্য গোদাম থেকে চাল উত্তোলন করে পৌরসভা হলরুমে চালগুলো রাখা হয়। পরপর দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় গত ২ জুন থেকে বিতরণ শুরুর প্রস্তুতি নিলেও ৩১ মে’র আকস্মিক বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে পৌরসভা কার্যালয়ের ভেতর ৩/৪ ফুট পানিতে ডুবে যায়। এতে অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির সাথে ভিজিএফের ২৩৪ বস্তা চাল ভিজে নষ্ট হওয়ায় বিতরণ অনুপযোগি হয়ে ওঠে। চালগুলো পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল, কিন্তু পৌরসভা কর্তৃপক্ষ পঁচা চালের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। অবশেষে এ সংক্রান্ত ৫ সদস্যের কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক পৌরসভা কর্তৃপক্ষ পরিবেশবান্ধব উপায়ে গত রোববার বিকেলে পৌরসভার গরুর হাটের পরিত্যক্ত স্থানে চালগুলো মাটি চাপা দিয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা এসএম জামালুদ্দিন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব, পৌরসভার উপ-সহকারি প্রকৌশলী দেবজিৎ চন্দ্র দাস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফখরুল আমিন খান, হিসাবরক্ষক আব্দুল লতিফ, কর নির্ধারক তোফায়েল আহমদ ও ব্যবসায়ী শামীম আহমদ প্রমুখ।
পৌরসভার প্রশাসক ও ইউএনও তাহমিনা আক্তার জানান, ভিজিএফের বিতরণ অনুপযোগি নষ্ট চালগুলো পৌরসভা কার্যালয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। এ ব্যাপারে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এসএম জামালুদ্দিনকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। ওই কমিটির মতামতের ভিত্তিতে দুর্গন্ধে পরিবেশের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য চালগুলো (২৩৪ বস্তা) গর্ত খুঁড়ে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।