ডাকসু নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫:৫২:৩৯ অপরাহ্ন
ডাকসু নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়!
মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং। মঙ্গলবার। বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ঐতিহাসিক একটি দিন। ডাকসু নির্বাচনের দিন। ব্যতিক্রম ও নতুন এক অধ্যায় রচনার দিন। সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা, আরও কিছু সময় ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। মধ্যরাত পেরিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়। শুরুতে হল সংসদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। চূড়ান্ত ফলাফল আসতে রাতের আধাঁর শেষে সূর্যোদয় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। এবারের ডাকসুতে ছাত্রশিবির বিশাল জয় অর্জন করেছে। সত্যিই অতুলনীয়। এককথায় অসাধারণ। ডাকসু নির্বাচনে ভিপি, জিএস, এজিএসসহ ২৮টির মধ্যে ২৩টি পদে বিজয়ী হয়েছে শিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। বাকি ৫ পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র ও অন্যান্য প্রার্থীরা। ভিপি পদে সাদিক কায়েম, জিএস পদে এস এম ফরহাদ ও এজিএস পদে মো: মহিউদ্দিন খান বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।
আলোচনা, পর্যালোচনা কিংবা সমালোচনা দেশের গন্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বময়। বিশেষ করে বাংলাদেশী নাগরিকদের মাঝে আলোচনার প্রধান কেন্দ্রবিন্দুতে ‘ডাকসু নির্বাচন’। কেউ কেউ অভিভূত, আবেগাপ্লুত। আবার কেউ কেউ বিস্মিত, স্তম্ভিত। সরাসরি আলাপচারিতা, সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিবাচক নেতিবাচক মন্তব্য, টকশোতে চলছে চুল-ছেঁড়া বিশ্লেষণ, জানা যাচ্ছে বুদ্ধিজীবীদের অভিব্যক্তি, দেখা যাচ্ছে ছাত্রজনতার উচ্ছ্বাস, পাওয়া যাচ্ছে বিজয়ীদের অভিমত, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ আর আগামীর পথচলার রূপরেখা।
ভিপি সাদিক কায়িম লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে ক্যাম্পাসে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিজয় হয় নি। এই বিজয় জুলাই বিপ্লবের সকল পক্ষ শক্তির। এ বিজয় স্বাধীন বাংলা বিনির্মাণে নিঃস্বার্থ প্রাণ বিলিয়ে দেয়া সকল শহীদের। এই বিজয় জীবন্ত শহীদ হয়ে বেঁচে থাকা অঙ্গহারা হাজারো গাজী বীরদের। এই বিজয় এক স্বপ্নের ক্যাম্পাস গড়ে তুলার দৃঢ় প্রত্যয়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর। এই বিজয় শহীদের রক্তের ঋণ, এই বিজয় আমাদের উপর শিক্ষার্থীদের অর্পিত পবিত্র আমানত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে তাই আমি দৃঢ় অঙ্গীকার করছি- সকল দল, মত, পথ, বিশ্বাস ও পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে ঐক্যবদ্ধ ভাবে স্বপ্নের ক্যাম্পাস গড়ে তুলার এই যাত্রায় আমরা কারো কাছে মাথানত করবো না।
কিভাবে আসলো এমন বিজয়? এসএম ফরহাদের কন্ঠে নির্বাচনের আগেই ধ্বনি-প্রতিধ্বনি হয়েছে যে, ভূমিধস বিজয় আসবে ইনশাআল্লাহ। কেমনে আসলো এরকম ফলাফল? অনেক অভিজ্ঞ ও জ্ঞানী বিশ্লেষকদের মন্তব্য : ‘ক্লিন ইমেজ’-এর কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ছাত্র সংসদ ও ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এর অভিমত : ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে সামাজিক আন্দোলনের মতো করে কাজ করেছে। শিবিরের ছেলে-মেয়েরা নানামুখী পড়াশোনা করে, তাদের একাডেমিক ক্যারিয়ারে সাফল্য ঈর্ষণীয়, যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করে। এদের বেশির ভাগেরই আচরণ ভালো। শিবিরের ছেলেদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ের খবর তেমন একটা পাওয়া যায় না। তাই শিক্ষার্থীদের কাছে ছাত্রশিবিরের প্রতি পজিটিভ ইমেজ তৈরি হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা গতানুগতিক ছাত্ররাজনীতির বাইরে ছাত্রশিবিরের ক্যারিয়ার ওরিয়েন্টেড কর্মকান্ড পছন্দ করেন। তাঁরা হলে ফাউ খাওয়া, বাকিতে খাওয়া, মারামারি, চাঁদাবাজি, গেস্টরুম কালচার ও টর্চার সেল পছন্দ করেন না। শিক্ষার্থীরা চান, তাঁদের জন্য যে বা যাঁরা কাজ করবেন, তাঁদেরকেই তাঁরা ভোট দেবেন। ডাকসু ও হল সংসদের ভোটের ফলাফলে প্রমাণও মিলেছে। এবার ছাত্রশিবিরের প্রার্থীরা মেয়েদের প্রচুর ভোট পেয়েছেন, যা তাঁদের অভাবনীয় জয়কে ত্বরান্বিত করেছে।
১৯৮৯-৯০ সালে ডাকসু নির্বাচনে জিএস পদে বিজয়ী ডা. মুস্তাক হোসেন মনে করেন যে, ‘এবারের ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের রাজনীতির বিপরীতে কোনো শক্তিশালী আদর্শিক ছাত্রসংগঠন ছিল না। যে সংগঠন শিবিরের প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজেদেরকে পরিচিত করার চেষ্টা করেছে, তারা সাংগঠনিকভাবে বিস্তৃত হলেও নিকট অতীতে তারা শিবিরের সঙ্গে একই রাজনৈতিক লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ ছিল। তাই ডাকসুর ভোটাররা তাদের তুলনায় শিবিরকেই “শ্রেয়তর” বিবেচনা করেছে।’
ছাত্রশিবিরের ব্যতিক্রমী বিজয় উদযাপন নজর কেড়েছে। ফলাফল পেয়ে সিজদাহ্’য় অবনত হওয়ার বিষয়টি মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে। ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ মহান। অবশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরাই বিজয়ী হলো। আমরা সারাদেশের কোথাও কোনো মিছিল করবো না। শুধু মহান রবের নিকট সিজদার মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করবো। এই বিজয় আল্লাহর একান্ত দান। আমরা অহংকারী হবো না, সবার প্রতি উদার ও বিনয়ী থাকবো। স্বপ্নের ক্যাম্পাস গড়ার পথযাত্রী, আমরা থামবো না। প্রিয় মাতৃভূমি হবে সবার বাংলাদেশ।
উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল অভিনন্দন জানিয়ে লিখেছেন, ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ী ছাত্রশিবিরের নেতাদের অভিনন্দন। স্বতন্ত্র প্রার্থী যারা জিতেছেন তাদের অভিনন্দন। অভিনন্দনে এই নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেয়া সকল অংশগ্রহনকারীদের। ছাত্রশিবিরের বিশাল বিজয় নিয়ে নানা বিশ্লেষন চলছে এখন। আমি শুধু একটা কথা বলবো। এই নির্বাচনের মাধ্যমে ট্যাগ দেয়ার রাজনীতির ভূমিধ্বস পরাজয় হয়েছে। হাসিনার আমলে শিবির ট্যাগ নিয়ে অগনিত শিবির কর্মী ও সাধারণ ছাত্রদের প্রতি অমানুষিক নির্যাতন হয়েছে। শিবির সন্দেহে পেটানোর পর পুলিশে সোপর্দের ঘটনা ছিল নিত্যনৈমিত্তিক। আমি অবিরামভাবে এর তীব্র প্রতিবাদ করেছি। নানা হুমকি ও আক্রমন এসেছে, কখনো থামিনি।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারীতে এই থিমের উপর ‘আমি আবুবকর’ নামের উপন্যাসও লিখেছি। এক বইমেলাতেই এটি ১১ বার মুদ্রন করতে হয়েছিল। তখন এর কারণ বুঝিনি, এখন বুঝতে পারছি। শিবিরের নেতাদের প্রতি আমার অনুরোধ, গনঅভ্যূত্থানকারী সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করুন। সলিমুল্লাহ হলে জুম্মার নামাজ পড়তে যাওয়ার সময়ে হলের ভেতর দিয়ে যেতাম। বারান্দায় চৌকি, মশারি আর ভাঙ্গা টেবিল চেয়ার দেখে বস্তির মতো লাগতো, ক্যান্টিন দেখে মনে হতো লঙ্গরখানা আর রুমগুলোর ভেতর তো উকি দিতেই ইচ্ছে হতো না।
কতোকিছু নেই আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কতো সমস্যা এখানে। আশা করি ফ্যাসিষ্টমুক্ত এই বাংলাদেশে ঢাবি-র অন্তত আবাসিক শিক্ষাথীদের কিছু গুরুতর সমস্যা আপনারা দূর করে যাবেন। দোয়া।
সুবিশাল বিজয় অর্জনের পর ছাত্রশিবির কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তাদের কর্মসূচি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫ ফলাফল-পরবর্তী দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। ১০ সেপ্টেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ। মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ কৃপায় ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’-এর বিজয়ের মাধ্যমে মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই বিজয়ী হয়েছে। এ নির্বাচনে যারা বিভিন্ন প্যানেল থেকে ও স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। মহান আল্লাহ তায়ালা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে অর্পিত দায়িত্বের আমানত নির্বাচিত প্রতিনিধিদের যথাযথভাবে রক্ষা করার তাওফিক দান করুন। আমীন।” ডাকসু নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের এই ঐতিহাসিক বিজয় উপলক্ষে ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী নি¤েœাক্ত কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো— ১. শুকরিয়া আদায় করে দোয়া মাহফিল ও শব্বেদারি (নৈশ ইবাদত) বাস্তবায়ন। ২. শহীদদের কবর জিয়ারত এবং শহীদ পরিবার ও আহতদের সাথে সাক্ষাৎ। “কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে ছাত্রশিবিরের সকল মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয়, শহর ও জেলা শাখাকে উক্ত কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি কোনো ধরনের আনন্দ মিছিল, শোভাযাত্রা বা র্যালী আয়োজন করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি। রাব্বে কারিম, আমাদের সকল তৎপরতা তাঁর দ্বীনের জন্য কবুল করুন। আমীন।”
অনেকেই নির্বাচন প্রতিনিধিদের কাছে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে খুবই সুন্দর, বাস্তব ও সময়োপযোগী পরামর্শ উপস্থাপন করেছেন। বর্তমান সময়ের আলোচিত আইনজীবী শিশির মনির লিখেছেন, সাবেক ছাত্র হিসেবে ডাকসুর নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের কাছে আমার ব্যক্তিগত প্রত্যাশা ১. নেতা হিসেবে আচরণ করবেন না। ছোট ভাই-বড় ভাই-বন্ধু-ছাত্র-ছাত্রী হিসেবে আচরণ করবেন। ২. নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ভালো ফলাফল অব্যাহত রাখবেন। ৩. কেবলমাত্র নিজের নামে বরাদ্দকৃত সিটেই বসবাস করবেন। যে দিন সিট থাকবে না সেইদিনই হল ছেড়ে চলে যাবেন। ৪. নিয়মিত লাইব্রেরিতে পড়াশুনা করতে যাবেন। রিসার্চ করবেন। সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করবেন। ইন্টেলেকচুয়াল সুপিরিওরিটি অর্জন করার চেষ্টা করবেন। ৫. দুনিয়ায় কোথায় কি হচ্ছে? সর্বশেষ নলেজ ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে ‘আপ টু ডেট’ খবরাখবর রাখবেন। সেই অনুযায়ী আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে আপডেট করার চেষ্টা করবেন। ৬. বিতার্কিক হিসেবে নিজেই অংশগ্রহণ করবেন। ৭. সহজ-সরল-স্বাভাবিক জীবন যাপন করবেন। পোশাক-পরিচ্ছদ, খাবার-দাবার, যানবাহন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমমান বজায় রাখবেন। ৮. নিজেরা খেলা-ধুলা, সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন। প্রতিযোগিতা করবেন। ৯. সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করবেন। আপনারা সকলের প্রতিনিধি। জয়-পরাজয় নয়। বিজিতদের মধ্য থেকে বিভিন্ন কমিটিতে জায়গা করে দিবেন। ১০. প্রথম বর্ষের ছাত্রদের প্রতি একটু বেশি খেয়াল রাখবেন। হঠাৎ করে অনেকেই শহরে এসে খেই হারিয়ে ফেলে। না বুঝার কারণে ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যায়। তাদের ব্যক্তিগত খবরাখবর রাখার চেষ্টা বেশি করে করবেন।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল আউয়াল সম্রাট টাইম টেলিভিশন আয়োজিত টকশোতে বলেন ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের পরাজয় তিনি আগেই জানতেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের কিছুদিন আগে ছাত্রদলের দুইজন প্রার্থীকে জিজ্ঞেস করলাম বিএনপি হিসেবে নয়, বড় ভাই হিসেবে আমাকে বলো তোমাদের খবর কি? ওরা বললো, ভাই খবর ভালো না। আমি বললাম, কারণ কী? তারা বলে, চূড়ান্ত গরমের সময় শিবির প্রত্যেকটি হলে ৬ টি করে ওয়াটার কুলার দিয়েছে। গরমে যেন ছাত্ররা ঠান্ডা পানি খেতে পারে। আমরা তো একটিও দিতে পারি নি। বিএনপি নেতা সম্রাট সাহেব এরকম আরও কিছু মৌলিক কারণ বললেন, যা শিবিরের বিজয়ের কারণ।
জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ, নেতৃত্ব প্রদান, সেই চেতনাকে হৃদয়ে ধারণ, ভূমিকা পালন, সৃজনশীল কার্যক্রম, ছাত্রদের কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখা, বিপদে আপদে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা ছাত্রশিবিরের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করেছে। শিক্ষার্থীরা বিজয়ীদের মাঝে কথা ও কাজের মিল পেয়েছে। ছাত্রীরা আস্থা স্থাপন করেছে। তাদের নেতৃত্বকেই নিরাপদ হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছে। ৫ আগস্ট ২০২৪ এর পর মানুষ আর পেশীশক্তির উত্থান দেখতে চায় না। চাঁদাবাজি, মাস্তানি গ্রহণ করবে না। মুক্ত স্বাধীন ও সুখী সমৃদ্ধ সমাজ রাষ্ট্রের স্বপ্ন সবার হৃদয়ে লালিত হচ্ছে। ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সোনালী অধ্যায়ের সূচনা হলো। পর্যায়ক্রমে সেই সৌন্দর্য ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে। ক্যাম্পাস, পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে সর্বত্র। বৈষম্যহীন একটি রাষ্ট্র গড়ে উঠুক। শান্তি ও স্বস্তি ফিরে আসুক।
লেখক : কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সাবেক সদস্য ও সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, সিলেট মহানগরী।