স্বাগত জানাল বিএনপি-জামায়াত
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৮:৫৩:২৯ অপরাহ্ন

জালালাবাদ ডেস্ক : নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তারা এই রায়কে নাগরিকদের ভোটাধিকার রক্ষার বিজয় এবং ভবিষ্যতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে একটি অগ্রগতি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।মঙ্গলবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শুধুমাত্র তত্ত্বাবধায়ক সরকারই অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারে। অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা তুলনামূলকভাবে বেশি ছিল। এই ব্যবস্থায় কোনো কাঠামোগত দুর্বলতা থাকলে তা সংস্কারের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।
রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, এই রায়ের ফলে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনর্বহাল হল। জনগণ এখন নির্দ্বিধায় ভোট দিতে পারবে।
জামায়াতে ইসলামীও এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। দলটি বলেছে, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থার বিকল্প নেই।
দুপুরে মগবাজারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো বিকল্প নেই। কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা বাতিলের কারণেই শেখ হাসিনার সরকার ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারি চরিত্র অর্জন করেছিল। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন ছিল দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কিত অধ্যায়।
তিনি বলেন, ‘আজকের দিনটি ঐতিহাসিক। ১৯৮৩ সালের ২০ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী সর্বপ্রথম কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থার রূপরেখা জাতির সামনে উপস্থাপন করেছিল। কাকতালীয়ভাবে ২০২৫ সালের এই ২০ নভেম্বরেই মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট সেই কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় দিলেন। আমরা আদালত, আইনজীবী ও দেশবাসীকে মোবারকবাদ জানাচ্ছি।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো ইতিহাস নেই। তাই নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ তদারকি সরকার অপরিহার্য। অধ্যাপক গোলাম আযম ছিলেন এই ব্যবস্থার মূল রূপকার।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গণ-আকাঙ্খার সরকার। আমরা আশা করছি, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অতীতের মতো কোনো পাতানো নির্বাচন করার চেষ্টা করা হলে, দেশবাসীকে নিয়ে আমরা তা প্রতিহত করব।





