কৈলাশটিলায় বন্ধ কূপের সংস্কারকাজ শেষ : সিলেট থেকে জাতীয় গ্রিডে আরো ৫০ লাখ ঘনফুট গ্যাস
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৮:৫৯:১৩ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার : গোলাপগঞ্জ উপজেলার কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপের সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে। বন্ধ থাকা কূপটির বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্যাস পরীক্ষা করা হয়। দুই দিন পর ওই কূপের গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার কথা। এটি সচল হলে প্রতিদিন প্রায় ৫০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। সিলেট গ্যাস ফিল্ডের আওতাধীন কূপের সংস্কারকাজ (ওয়ার্কওভার) শেষে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল জলিল প্রামাণিক।
গ্যাস ফিল্ডস সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের কৈলাশটিলা ১ নম্বর কূপে ১৯৬১ সালে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। মাঝে বিরতির পর কূপ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত গ্যাস উত্তোলন করা হয়। পরে ২০২৩ সালে এটির সংস্কার শুরু করা হয়। এর মধ্যে সিলেট গ্যাস ফিল্ডের আওতাধীন ১৪টি কূপের সংস্কারকাজ চলছে। কৈলাশটিলা ১ নম্বর কূপটির ওয়ার্কওভার কাজ প্রায় ৪ মাস আগে শুরু করা হয়। এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সিলেট গ্যাস ফিল্ডের আওতাধীন রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডের ৩ নম্বর কূপ ওয়ার্কওভারের পর দৈনিক প্রায় ৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়। সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের আওতাধীন কূপগুলোতে আরও কয়েকটি প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। সেগুলো দ্রুত শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান ও কূপ ওয়ার্কওভারের কাজ চালানো হচ্ছে।
কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার কাজের প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্যাসকূপটির প্রায় ২ হাজার ২৪১ মিটার থেকে ৬৭ মিটারে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর আগে প্রায় ৩ হাজার ১০০ মিটার গভীর থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হয়। ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে প্রাপ্ত গ্যাস আগামী প্রায় ১০ বছর উত্তোলন করা সম্ভব।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল জলিল প্রামাণিক বলেন, সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের বিয়ানীবাজার-২ নম্বর কূপেও আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ওয়ার্কওভার শুরু হবে। ওই কূপ থেকেও গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কৈলাশটিলা কূপের প্রোডাকশন টেস্টিং (উৎপাদন পরীক্ষা) শেষে আগামী দুই দিনের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস যুক্ত করা হবে। কূপটি থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।





