বড়লেখায় শ্বশুরবাড়ির ৩ জনের বিরুদ্ধে প্রবাসীর মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:০৭:২১ অপরাহ্ন

বড়লেখা প্রতিনিধি: বড়লেখা উপজেলার পূর্ব-হাতলিয়া গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে ফ্রান্স প্রবাসী নাজিম উদ্দিন ৩ বছর আগে পারিবারিকভাবে ভিডিও কনফারেন্সে বিয়ে করেন বড়লেখা পৌরসভার হাটবন্দ এলাকার মৃত তছির আলীর মেয়ে তানজিলা আক্তার ছামিয়াকে। ছামিয়াকে ফ্রান্স পাঠাতে নাজিম উদ্দিনের কাছ থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা নেন শাশুড়ি আমিনা বেগম, খালা শাশুড়ি তানিসা জান্নাত ইবা ও শ্যালক তামিম আহমদ।
স্ত্রী তানজিলা আক্তার ছামিয়াকে নিজের টাকায় ফ্রান্সে নিয়ে কিছুদিন ঘর সংসার করার পর নিজাম উদ্দিন জানতে পারেন তানজিলা আরেক প্রবাসীর স্ত্রী। ওই প্রবাসী (তারেক আহমদ) ও তার মা-ভাইয়ের প্ররোচনায় তানজিলা বৈধ স্বামী নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ফ্রান্সে মিথ্যা মামলা করে তাকে ৬ মাস জেল খাটিয়েছে। এরমধ্যে স্ত্রী তানজিলা আক্তার ছামিয়া পালিয়ে গেছে। নিঃস্ব ফ্রান্স প্রবাসীর মা রানিয়া বেগম এই মহাপ্রতারণায় ছেলের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত ও ন্যায় বিচারের দাবিতে নিজাম উদ্দিনের শাশুড়ি আমিনা বেগম, শ্যালক তামিম আহমদ ও খালা শাশুড়ি তানিসা জান্নাত ইবা-কে আসামি করে বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে মৌলভীবাজার পিবিআই-কে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বুধবার রাতে নিঃস্ব ফ্রান্স প্রবাসি নিজাম উদ্দিনের বাবা খলিলুর রহমান, মা রানিয়া বেগম, চাচা মাসুকুর রহমান, আছার উদ্দিন, চাচী ছাবিনা ইয়াসমিন, লুৎফা বেগম, চাচাতো বোন মাছুমা আক্তার প্রমুখ বড়লেখায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
এ ব্যাপারে আমিনা বেগম, তামিম আহমদ ও তানিসা জান্নাত বলেন, নাজিম উদ্দিন তার স্ত্রীকে লন্ডন পাঠানোর খরচ বাবত টাকা দিয়েছে। সে লন্ডন থেকে তার স্ত্রীকে ফ্রান্সে নিয়েও গেছে। এরপরের ঘটনার দায় তাদের নয়। যেহেতু আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, আদালতই ফয়সালা দিবেন।
রানিয়া বেগমের মামলার কৌশলী অ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলী জানান, আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে পিবিআই মৌলভীবাজারকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।





