সিলেটজুড়ে ফের জ্বালানী তেল সঙ্কট
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ৮:২৭:৫৯ অপরাহ্ন
২২ জানুয়ারী থেকে পেট্রোল পাম্প ধর্মঘটের হুশিয়ারী
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটজুড়ে জ্বালানী তেলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। চাহিদার অর্ধেকের কম সরবরাহ ও সেই সরবরাহ নিয়মিত না হওয়ায় এই সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে চাহিদামতো জ্বালানী তেল সরবরাহ করা না হলে ২২ জানুয়ারী রোববার থেকে একযোগে সিলেট বিভাগের সকল পেট্রোল পাম্পে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের হুশিয়ারী দিয়েছেন পাম্প মালিকগণ।
জানা গেছে, সিলেটের পেট্রোল পাম্পগুলোতে পেট্রোল-ডিজেল ও অকটেনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সিলেটের স্থানীয় পরিশোধানাগার বন্ধ থাকা, রেলের ওয়াগন সংকট ও শীত মৌসুমে চাহিদা বেড়ে যাওয়া এই সংকট ক্রমশ ঘনীভুত হচ্ছে। এই সংকট নিরসনে সিলেটের পরিশোধানাগারগুলো চালুর দাবীতে জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন। কিন্তু নানা অজুহাতে বন্ধ রাখা হয়েছে শোধনাগারগুলো। সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় জ্বালানী তেল বিপণন সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) সিলেটের জ¦ালানী সরবরাহ কমিয়ে দেয়। সংস্থাটি সিলেটের ব্যবসায়ীদের আশুগঞ্জ থেকে নিজ খরচে জ্বালানী তেল সংগ্রহ করার কথা বলায় বাড়ছে পরিবহন ব্যয়। ফলে সরবরাহ কম থাকায় বিভাগের সব পেট্রল পাম্পগুলো চলছে কম তেল নিয়ে। সবচেয়ে বেশি সংকট দেখা দিয়েছে ডিজেলের। ব্যবসায়ীদের দাবি চাহিদার অর্ধেক ডিজেলও পাচ্ছেন না তারা। এমন পরিস্থিতিতে সমস্যা সমাধান না হওয়ায় চলতি মাসের ২২ জানুয়ারী থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও পেট্রল পাম্প এ্যান্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগীয় কমিটি। শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস এ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি জুবায়ের আহমদ চৌধুরী।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে সিলেটে জ্বালানী তেল সংকট চলে আসছে। বার বার সংশ্লিষ্টদের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোন সমাধান আসছেনা। তাই আগামী ১৮ জানুয়ারী থেকে ডিপু থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ থাকবে। আর ২২ জানুয়ারী থেকে সিলেটের সকল পাম্প অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগে সিলেটের পেট্রোল পাম্পগুলোকে সিলেটের গ্যাসফিল্ড খনি থেকে উৎপাদিত জ্বালানী তেল সরবরাহ করা হতো। ফলে চাহিদা পূরণের পরও পাম্পগুলোতে তেলের রিজার্ভ থাকতো। কিন্তু গত ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে সেটা বন্ধ করে সিলেটের পাম্প ব্যবসায়ীদেরকে চট্রগ্রাম থেকে ওয়াগনের মাধ্যমে জ্বালানী সরবরাহ করতে বাধ্য করা হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় অনিয়ম। প্রয়োজনমত জ্বালানী সরবরাহ না করা, নিম্নমানের জ্বালানী সরবরাহ, জ্বালানী সরবরাহের প্রধান মাধ্যম রেল যোগাযোগ প্রায় সময় বন্ধ থাকাসহ নানা কারণে প্রায়সময়ই সিলেটের পাম্পে থাকা জ্বালানী তেলের রিজার্ভ শেষ হওয়ার ঘটনা ঘটে আসছে। ফলে সিলেটে দিনদিন জ্বালানী তেলের সংকট তীব্রতর হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সিলেটের পাম্পগুলো বন্ধ করা ছাড়া মালিকদের কিছুই করার থাকবেনা।
পেট্রোল পাম্প অ্যান্ড ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় পেট্রোল পাম্প রয়েছে ১৫০টির বেশী। এরমধ্যে সিলেট নগরীতে ৪৫টিসহ জেলায় রয়েছে ৭০টি পাম্প। এসব পাম্পে প্রতিদিন পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেলের চাহিদা ১০ লাখ লিটারেরও বেশি। কিন্তু চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ হয় অর্ধেকের কম অর্থাৎ ৪ লাখ লিটারের কম। তাছাড়া নিম্নমানের তেল সরবরাহ করার কারণে ক্রেতাদের ক্ষোভের শিকার হন মালিক কর্তৃপক্ষ। মোবাইল কোর্টে অভিযান পরিচালনার কারণে আর্থিক জরিমানা গুণতে হয় পাম্প মালিকদেরকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিলেট বিভাগের ১৫০টি পাম্পে জ্বালানী তেল আসে চট্টগ্রাম থেকে ওয়াগনের মাধ্যমে। কিন্তু ওয়াগন সংকট যেন এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। ফলে রিজার্ভ থেকে গ্রাহক চাহিদা পূরণ করতে হয়। এখন রিজার্ভও শেষ হওয়ার পথে। আগে সিলেটের গ্যাস ফিল্ডসমূহের খনি থেকে উত্তোলিত কনডেনসেট থেকে জ্বালানী তেল উৎপাদন করে সিলেটের পাম্পে সরবরাহ করা হতো। তখন সিলেটকে কখনো জ্বালানী তেলের সংকটের মুখে পড়তে হয়নি। এরপর গত ২ বছর থেকে সিলেটের গ্যাসফিল্ড থেকে পাম্পে জ¦ালানী সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে পরিকল্পিতভাবে সিলেটের পাম্প মালিকদেরকে ওয়াগনের মাধ্যমে চট্রগ্রাম থেকে জ¦ালানী সরবরাহ করা হচ্ছে। সিলেটের গ্যাসফিল্ড থেকে কার স্বার্থে জ্বালানী তেল উৎপাদন বন্ধ রাখা হচ্ছে এমন প্রশ্নও ছুড়েন অনেক পাম্প মালিক। সিলেটের গ্যাস ফিল্ডস খনি থেকে জ্বালানী তেল উৎপাদন ও সিলেটের পাম্পগুলোর মাঝে তা সরবরাহ না করলে এই সংকট কাটিয়ে উঠা সম্ভব নয় বলে জানান একাধিক পাম্প মালিক ও জ্বালানী তেল ব্যবসায়ী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তেলের মান ভালো নয় জানিয়ে, গত ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে সিলেটের গ্যাস ফিল্ডসমূহের খনি থেকে উত্তোলিত কনডেনসেট থেকে জ্বালানী তেল উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর থেকে সিলেটের গ্যাসফিল্ড থেকে উৎপাদিত পেট্রোল, ডিজেল ও কেরোসিন ক্রয় বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। সিলেট গ্যাস ফিল্ড থেকে গ্যাসের সাথে উত্তোলিত কনডেনসেট বিপিসি ক্রয় না করায় এসব বিক্রি করা হচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো আবার নিজস্ব প্ল্যান্টে পরিশোধন করে জ্বালানী তেল (পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন) বিক্রি করছে বিপিসি’র কাছে। তেল উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্যাস ফিল্ডের কনডেনসেট থেকে পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন উৎপাদন প্লান্ট (ফ্রাকশনেশন প্লান্ট) গুলোতে কর্মরত বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী হয়ে আছেন বেকার। বন্ধ হয়ে যায় গোলাপগঞ্জের আরপিজিসিএল ও এলপিজি প্লান্ট। এছাড়া, তেল উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গোলাপগঞ্জ কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড থেকে উত্তোলিত অতি উচ্চ মানের এনজিএল (ন্যাচারাল গ্যাস লিকুইড) পুড়িয়ে ধ্বংস করতে হয়েছে।
জানা গেছে, গ্যাস ফিল্ড গুলো আরওএন ৮৩ (৮৩ অকটেন নম্বর) নম্বরের পেট্রোল উৎপাদন করে। বিএসটিআই বাজারে মান নির্ধারণ করে ৮৯ অকটেন নম্বরের পেট্রোল। এই মান নির্ধারণ করার পরও পূর্বের আরওএন নম্বরের উৎপাদিত পেট্রোল ক্রয় করে বিপিসি। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে উচ্চ আদালতে এ বিষয়ে রিট হলে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য ২০২১ সালে দেশের সব ফ্রাকশনেশন প্ল্যান্টের মতো সিলেট গ্যাস ফিল্ডের উৎপাদিত তেল মানসম্মত নয় জানিয়ে গ্যাস ফিল্ড এর ফ্রাকশনেশন প্ল্যান্ট থেকে তেল ক্রয় বন্ধ করে দেয় বিপিসি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন গ্যাস ফিল্ড থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার ব্যারেল (১৫ লক্ষ ৯০ হাজার লিটার) কনডেনসেট উত্তোলিত হয়। এর মধ্যে শুধু সিলেট বিভাগের গ্যাস ফিল্ড গুলোতে থেকে উত্তোলিত হতো প্রায় সাড়ে ৯ হাজার ব্যারেল এবং বাকি ৫শ’ ব্যারেল উৎপাদিত হয় দেশের অন্য গ্যাস ক্ষেত্র গুলোতে। সিলেট গ্যাস ফিল্ডের আওতাধীন বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড থেকে ৭ হাজার ৭শ ৬১ ব্যারেল, সিলেটের জালালাবাদ গ্যাস ফিল্ড থেকে ১ হাজার ব্যারেল এবং সিলেট গ্যাস ফিল্ডের আওতাধীন হরিপুর এবং কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড গোলাপগঞ্জ থেকে উৎপাদিত হয় ৭৩০ ব্যারেল কনডেনসেট।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডের আওতাধীন গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডে প্রতিদিন ৩শ’ ব্যারেল কনডেনসেট থেকে জ¦ালানী তেল উৎপাদন ক্ষমতার ফ্রাকশনেশন প্ল্যান্ট আছে। এছাড়া রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডে ৩ হাজার ৮শ’ ব্যারেলের ফ্রাকশনেশন প্লান্টসহ প্রতিটি গ্যাস ফিন্ডে ছোট আকারের ফ্রাকশনেশন প্ল্যান্ট রয়েছে। অবশিষ্ট কনডেনসেট দেয়া হতো দেশের অন্যান্য স্থানের সরকারি ও বেসরকারি ফ্রাকশনেশন প্লান্টগুলোকে। ২০২১ সালে ৬ মাসেরও অধিক সময় থেকে বিপিসি তেল না নেয়ায় সিলেটসহ দেশের ১২টি ফ্রাকশনেশন প্ল্যান্টের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় এবং সব কনডেনসেট দেয়া হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে।
এব্যাপারে বেঙ্গল গ্যাসোলিন পাম্পের স্বত্তাধিকারী ব্যারিষ্টার রিয়াশাদ আজিম হক আদনান দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, সিলেটের জ্বালানী তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রধান মাধ্যম রেলপথ। আর খুব ক্ষুদ্র একটা অংশ আসে সড়কপথে। কিন্তু বর্তমানে সিলেটের রেলপথের খরচ বাঁচাতে বিপণন কোম্পানীগুলো সিলেটে জ্বালানী ডেলিভারি না দিয়ে উল্টো নিজ খরচে আশুগঞ্জ থেকে সড়কপথে তেল সরবরাহ করতে বলে। এতে প্রতি লিটার জ্বালানী তেলের পরিবহন খরচ পড়ে ২ টাকা। অথচ পাম্পগুলো প্রতি লিটারে কমিশন পায় মাত্র ৫০ পয়সা। তাই অনেক মালিক নিজ খরচে তেল আনতে অপারগতা প্রকাশ করে কোম্পানীগুলোকে সিলেটে তেল ডেলিভারি দিতে বলেছে। ফলে সরবরাহ অনিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই অনিয়মিত সরবরাহের কারণে সিলেটের পাম্পগুলোতে জ্বালানী সংকট তীব্র হচ্ছে। সিলেটের গ্যাসফিল্ড থেকে পুনরায় জ্বালানী তেল সরবরাহ শুরু করলে সরকার যেমন রাজস্ব লাভ করবে তেমনি সিলেটের জ্বালানী সংকটও দূর হবে।
এ ব্যাপারে সিলেট বিভাগ পেট্রোল পাম্প অ্যান্ড ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন আহমদ দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, সিলেটের গ্যাস ফিল্ড থেকে জ্বালানী উত্তোলন বন্ধ হওয়ার পর থেকে সিলেটের পেট্রোল পাম্প ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ শুরু হয়েছিল। এরপরও সরকারী বিপণন কোম্পানীগুলো সিলেট ডিপো থেকে চাহিদার অর্ধেক জ্বালানী তেল সরবরাহ করে আসছিল। সম্প্রতি বোরো মওসুম শুরু হওয়ার তেলের চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে কোম্পানীগুলো তেল সরবরাহে অনিয়ম শুরু করে। সিলেট ডিপোতে সরবরাহ বন্ধ করে আশুগঞ্জ ডিপো থেকে তেল সরবরাহ করার জন্য বলে। এতে ব্যবসায়ীদের ব্যয় বৃদ্ধি পায়। লোকসান দিয়ে পাম্প চালানো মালিকদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই ধর্মঘটের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া ছাড়া উপায় নেই।
সিলেট বিভাগ পেট্রোল পাম্প অ্যান্ড ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি জুবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেন, আমাদের সিলেট রাজনৈতিক অভিভাবকের শুন্যতায় ভূগছে। সিলেটের পেট্রোল পাম্প ব্যবসা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। সিলেটের গ্যাসফিল্ডের পরিবর্তে আমাদেরকে ওয়াগনের মাধ্যমে চট্রগ্রাম থেকে জ্বালানী তেল সরবরাহ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। অথচ সিলেটের গ্যাসফিল্ড থেকে সিলেটের পাম্পগুলোতে জ্বালানী সরবরাহ চালু থাকা ছিল সময়ের দাবী। কি কারণে সিলেটের গ্যাস ফিল্ডের খনি থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধ রেখে আমাদেরকে জ্বালানী সংকটের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে, এর কোন উত্তর আমরা পাইনি। সিলেটে জ্বালানী সংকটের দ্রুত সমাধানে আমরা দীর্ঘদিন থেকে নানা কর্মসূচী পালন করে আসছি। কিন্তু এতে কোন কাজ হয়নি। তাই শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে সিলেটে পেট্রোল পাম্প মালিকগন অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিতে বাধ্য হয়েছেন।
এব্যাপারে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম মজিবুর রহমান দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, সিলেটে জ্বালানী তেলের কোন সঙ্কট নেই। গত সপ্তাহে যোগাযোগ জনিত কারণে ২ টা ওয়াগন কম এসেছে। আর এজন্য ব্যবসায়ীরা মনে করেছে তেল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আগামীকাল থেকে আমাদের সবগুলো ওয়াগন আবার নিয়মিত আসছে বলে আমার কাছে তথ্য রয়েছে। এছাড়া আমাদের পর্যাপ্ত জ্বালানী তেল মজুদও আছে।