অবরোধে বিপর্যস্ত পরিবহন খাত
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ৫:৩০:১১ অপরাহ্ন
* কর্মহীন অনিশ্চয়তায় সিলেটের ২০ হাজার শ্রমিক *
* দৈনিক ক্ষতি দেড় থেকে দুই কোটি টাকা *
এমজেএইচ জামিল :
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অবরোধ চলছে দেশজুড়ে। এই অবরোধে সারাদেশের ন্যায় সিলেটের পরিবহন খাতও ব্যাপক ক্ষতির মুখে। গাড়ির চাকা না ঘুরায় কর্মহীন দিনাতিপাত করছেন সিলেটের ২০ হাজার শ্রমিক। আর সিলেটের পরিবহন খাতে প্রতিদিন ক্ষতি হচ্ছে দেড় থেকে দুই কোটি টাকা।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশকে ঘিরে সংঘর্ষের পর বিএনপি হরতাল ডাকে। এরপর দফায় দফায় অবরোধ-হরতাল ডাকছে বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলো। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে সারা দেশের যান চলাচল। সিলেট থেকে ছেড়ে যাচ্ছেনা দূরপাল্লার বাস। চলছেনা সিলেট আন্তঃরোডের বাসও। বিচ্ছিন্নভাবে মাঝে মাঝে বাস চলাচল করলেও যাত্রী কম থাকায় সড়কে চলছে খুব কম সংখ্যক বাস।
সিলেটের পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অবরোধের ফলে শুধু সিলেটের পরিবহন খাতে দৈনিক ক্ষতি হচ্ছে দেড় কোটি টাকার বেশী। ফলে সিলেটের পরিবহন সেক্টরের সাথে জড়িত ২০ হাজার শ্রমিকের ১৫ হাজার পরিবার দু:সময় পার করছে। তাদের পরিবারে নেমেছে অনিশ্চয়তা। দেনায় জর্জরিত হচ্ছেন শ্রমিকরা।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, সিলেটের ২০ হাজারেরও বেশি শ্রমিকের আয়ের উৎস পরিবহন খাত। পরিবহন শ্রমিকরা দৈনিক কাজের ভিত্তিতে মজুরি পেয়ে থাকেন। গাড়ির চাকা ঘুরলে তাদের পকেটে টাকা ঢুকে, না ঘুরলে পকেট ফাঁকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অবরোধের কারণে শুধু সিলেটের পরিবহন সেক্টরে প্রতিদিন লোকসান হচ্ছে দেড় কোটি টাকা। সিলেট জেলা ও মহানগর এলাকায় বর্তমানে বিআরটিএ’র নিবন্ধিত গাড়ির সংখ্যা ১ লাখ ৪৪ হাজার। এছাড়া অনিবন্ধিত গাড়ী আছে আরো ১৫ থেকে ২০ হাজার। অবরোধ চলাকালে সিএনজি অটোরিক্সা, এম্বুলেন্স ও ব্যক্তিগত কিছু কার-মাইক্রোবাস ছাড়া অধিকাংশ যানবাহন বন্ধ থাকছে। ফলে এর সাথে জড়িত হাজার হাজার পরিবহন শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ছেন।
সিলেটের পরিবহন সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপাকালে জানা গেছে, সিলেট থেকে প্রতিদিন ২ শতাধিক বাস ছেড়ে যায়। এসব বাস ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগে চলাচল করে। এছাড়া আরো ২০টি দূরপাল্লার এসি বাস বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে। শুধুমাত্র ঢাকার হিসাবে একটি বাসে ৪০ জন করে যাত্রী চলাচল করে। প্রতি সিলেট থেকে ঢাকাগামী প্রতিটি বাসে যাত্রীপ্রতি ভাড়া হচ্ছে ৭০০ টাকা করে হলে ২৮ হাজার টাকা। ঢাকা ছাড়া অন্যান্য বিভাগের ভাড়া আরো বেশী। শুধু ঢাকার হিসাবে সিলেট থেকে ছেড়ে যাওয়া ২০০টি দূর পাল্লার বাসের ভাড়া দাড়ায় ৬০ লক্ষ টাকা। যতটা বাস ছেড়ে যায় ততটা বাস দৈনিক সিলেটে ঢুকে। সেই হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়। এছাড়া ২০টি এসি বাসের ভাড়া জনপ্রতি ১৫০০ টাকা ধরে বাসপ্রতি ৫০ হাজার টাকা হলে মোট ১২ লক্ষ টাকা। প্রতিটি বাস আবার সিলেটে ব্যাক করলে এই টাকা দ্বিগুণ হয়।
জানা গেছে, সিলেটের বিভিন্ন আন্তঃরোড-সুনামগঞ্জ, তামাবিল, জকিগঞ্জ, হবিগঞ্জ, বিশ^নাথ, জগন্নাথপুর, কুলাউড়া, ঢাকা দক্ষিণ রুটে প্রতিদিন ৬ শতাধিক বাস-মিনিবাস চলাচল করে। প্রতিটি বাস-মিনিবাস থেকে শুধু মালিক ইনকাম আসে দৈনিক গড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। সেই হিসাবে প্রতিদিন প্রায় ২৫ লাখ টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মালিকগন। এর প্রভাব পড়ছে এসব যানবাহনের সাথে জড়িত অন্যান্য পরিবহন শ্রমিকদের পরিবারে। এছাড়া সিলেট জেলায় ৬ শতাধিক হাইয়েক্স, নোহা, মাইক্রোবাস, কার গাড়ী রয়েছেন। তারা প্রতি বছর নভেম্বর-ডিসেম্বর ও জানুয়ারী মাসে পর্যটক পরিবহনে ব্যস্ত দিন কাটায়। কিন্তু টানা অবরোধের কারণে ৬ শতাধিক কার-মাইক্রোবাস জাতীয় গাড়ী থেকে শুধু মালিকগণ দৈনিক বঞ্চিত হচ্ছেন গড়ে ১ হাজার টাকা করে হলে ৬লক্ষ টাকা। এছাড়া আরো ট্রাক-পিকাপসহ অন্যান্য যানবাহন মালিক ও শ্রমিকদের প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছেন। এসব যানবাহনে দৈনিক ক্ষতি কমপক্ষে ১০ লক্ষ টাকা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, লাগাতার হরতাল অবরোধের ফলে সিলেটের ২০ হাজারের বেশি পরিবহন শ্রমিক ভুগছে অর্থ সংকটে ভূগছেন। গাড়ি না চলায় আয়ের পথ থমকে গেছে তাদের। ফলে টাকার অভাবে তিন বেলা খাবারের জোগানের পাশাপাশি এসব শ্রমিকদের পরিবারের লোকজনও বঞ্চিত হচ্ছে সামাজিক বিভিন্ন অধিকার থেকে।
রাজনৈতিক এমন সংকটে পরিবহন শ্রমিকদের বিষয়ে বিস্তর জানতে সিলেটের বিভিন্ন এলাকার বেশকিছু বাসচালক ও ট্রাকচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলমান হরতাল-অবরোধে পরিবারের জন্য চাল, ডালও কিনতে পারছেন না বলে জানান পরিবহন শ্রমিকেরা।
সিলেট-সুনামগঞ্জ রোডের বাসচালক শাহজাহান জানান, গত সপ্তাহে এক কেজি তেলাপিয়া মাছ কিনে বাড়ি এসেছিলাম। সেদিন থেকে বসা। গাড়ি না চললে টাকা নেই, খরচও নেই। মুলা, শাক ভর্তা দিয়ে খেয়ে দিন যাচ্ছে। এই রোডে মাঝে মাঝে দুয়েকটা বাস চলাচল করে। তবে যেখানে ৩০ মিনিট পর একটি বাস ছেড়ে যেতো সেখানে ৩ ঘন্টা বসেও এক বাসের সীট পুরা করা যাচ্ছেনা। এছাড়া ঝুঁকি ত আছেই। এভাবে গাড়ী চালাতে অনেক চালকই রাজী হচ্ছেনা।
সিলেট-তামাবিল রোডের বাসচালক তৈয়বুর রহমান বলেন, লজ্জায় বাড়িতে যাই না। বাসায় গেলে বাচ্চারা ভালো তরকারির কথা বলে। দেশের রাজনীতি যেদিকে যায় যাক, গাড়ির চাকা ঘুরার সুযোগ দিন, অন্যথায় মুখে আহার তুলে দিন।
সিলেটের দূরপাল্লার বাস কাউন্টারের একজন সুপার ভাইজার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কাউন্টার বন্ধই থাকে। মাঝে মাঝে খোলা রাখলেও যাত্রী না থাকায় বসে থাকতে হয়। গাড়ী না চললে আমাদের টাকা দেবে কোত্থেকে। এরপরও মালিক পক্ষ মাঝে মাঝে কিছু হাত খরচ দেন তাতে নিজেরই চলেনা।
তিনি জানান, গত কয়েকদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই গাড়ি বের করেছি। কিন্তু মানুষতো ভয়ে গাড়িতে উঠছে না। হুটহাট গাড়িতে আগুন দিচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে।
অবরোধে আগুন ও ভাঙচুরের শঙ্কায় এমনিতেই সিলেটে যানবাহন চলাচল কম। সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের তথ্য মতে, গত ২৮ অক্টোবর থেকে টানা হরতাল অবরোধে সিলেট জেলায় অন্তত ৩০০ টির বেশী গাড়ী ভাংচুর করা হয়েছে। সিলেট জেলায় সক্ষমতার মাত্র ২০ শতাংশ গণপরিবহন চলছে বলেও জানান তারা।
সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল হোসেন দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, অবরোধের কারণে সিলেটের ২০ হাজার পরিবহন শ্রমিকের জীবন যাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। টানা হরতাল অবরোধের কারণে সিলেটের পরিবহন খাতে দৈনিক ক্ষতি দেড় থেকে দুই কোটি হবে। এর পুরো প্রভাব পড়ছে পরিবহন শ্রমিকদের উপর।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুহিম দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, হরতাল-অবরোধে পরিবহন সেক্টরে চরম দুর্দিন নেমে এসেছে। হাজার হাজার পরিবহন শ্রমিক বেকার মানবেতর জীবন যাপন করছেন। লোনে ক্রয় করা অনেক মালিকের বাসসহ অন্যান্য যানবাহনের মাসিক কিস্তি রয়েছে। গাড়ী না চললে নিজে খাবে কি আর কিস্তি দিবে কোত্থেকে। অনেকেই পেটের দায়ে বাস চালাতে স্ট্যান্ডে যায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালাতে চায়। কিন্তু যাত্রী না থাকায় চাইলেও বাস চালানো যাচ্ছেনা। ফলে সিলেটের ২০ হাজারের বেশী পরিবহন শ্রমিকের জীবন স্তব্ধ হয়ে আছে।
তিনি আরো জানান, গত ১ মাসে সিলেট জেলায় ২ শতাধিক যানবাহন ভাংচুর করা হয়েছে। গাড়ী ভাংচুরের কারণে এমনিতেই মালিক পক্ষ ক্ষতির সম্মূখীন হন। এরই মধ্যে যে থানার অধীনে ভাংচুর হয় সেই থানার পুলিশের অত্যাচারে মালিক শ্রমিকরা অতিষ্ঠ। পুলিশ গাড়ী নিয়ে যায়। তারপর মামলা দিতে টাকা, গাড়ী থানা থেকে আনতে টাকা দিতে হয়। ফলে অনেক মালিক চালক গাড়ী বের করতে চান না।
এ ব্যাপারে জানতে সিলেট জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ জিয়াউল কবির পলাশের সাথে কথা বলতে একাধিকবার কল দিলেও তার নাম্বার বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, শুধু সিলেট নয়, বিএনপি সহ সমমনা দল জোটের ডাকে সারাদেশে নজিরবিহীন অবরোধ পালন হচ্ছে। এটা সত্য অবরোধের কারণে পরিবহনসহ সকল খাতেই ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু আওয়ামী লীত গত ১৫ বছরের দেশের যে ক্ষতি করেছে সে তুলনায় কিছুই না। আমরা মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করছি। সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এরপরও আমরা মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। জনগণ বিএনপি ঘোষিত শান্তিপূর্ণ অবরোধ পালন করছে বলেই গাড়ীগুলো যাত্রী পাচ্ছেনা। সুতরাং জনরায়ের প্রতি সরকারের সমর্থন থাকলে সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্থান্তর করতে হবে। অন্যথায় অবরোধের কারণে ক্ষয়ক্ষতির দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে।
সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, অবরোধের কারণে দেশে বর্তমানে যে ক্ষতি হচ্ছে সেটা আওয়ামী লীগের সৃষ্ট। দীর্ঘদিন থেকে জাতি ভোটাধিকার বঞ্চিত। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো দীর্ঘদিন থেকে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবী জানিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার সেই দাবীকে উপেক্ষা করে একতরফা নির্বাচনের দিকে হাটঁছে। বড় ধরনের পিকেটিং ও মিছিল ছাড়াই দেশে নজিরবিহীন অবরোধ প্রমাণ করে মানুষ ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। তারা সরকারের পদত্যাগ চায়। এজন্য জাতির কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর ধরে দুর্নীতি লুটপাটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। শেয়ারবাজার কেলেংকারি থেকে শুরু করে প্রতিটি অর্থনৈতিক সেক্টরকে শেষ করে দেয়া হয়েছে। দেশের রিজার্ভ তলানীতে নেমে এসেছে। ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গণতান্ত্রিক সরকারের বিকল্প নেই। এজন্য ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করতে হবে। দেশ ও জাতির বৃহত্তর সার্থে ক্ষুদ্র ক্ষতি পুষিয়ে নিতে জাতি প্রস্তুত রয়েছে। জনতার বিজয় নিশ্চিত হবেই, ইনশাআল্লাহ।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, অবরোধ কেউ মানছেনা। সিলেটে যানবাহনের চাপে যানজট লেগে থাকে। সিলেটে সব ধরনের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ শুধু ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ। সারাদেশের ন্যায় সিলেটেও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক। দেশে এখন নির্বাচনী আমেজ চলছে। আমি নিজেও আজ (সোমবার) ঢাকা থেকে ট্রেনে সিলেট এসেছি। আসার সময় দেখেছি সব এলাকাতেই যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, হরতাল অবরোধে রাষ্ট্রের অনেক ক্ষতি হয়। এজন্য মূলত রাজনৈতিক সংকট দায়ী। স্বাধীনতার ৫২ বছরে দেশ অনেক ক্ষেত্রে এগিয়েছে। তবে এই সময়ে আমরা সম্মিলিত কোন নির্বাচনী ব্যবস্থা তৈরী করতে পারিনি। রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া এই সংকট সমাধান সম্ভব নয়। এখনো সমঝোতার সময় রয়েছে। আমরা দেশে আর কোন অস্থিতিশীল পরিবেশ চাইনা। আলোচনা ও সমঝোতার সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আমি প্রত্যাশা করি সরকার ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো একত্রে বসে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের উদ্যোগ নিবেন। আর জাতিকে অস্থিতিশীল পরিবেশ থেকে মুক্তি দিবেন।