সিলেটে সশস্ত্র বাহিনী দিবস অনুষ্ঠানে মে. জেনারেল রিদওয়ান : মুক্তিযুদ্ধে সিলেট অঞ্চলের মানুষের অসীম সাহসিকতা প্রশংসনীয়
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৬:২৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটে বর্ণিল আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট সেনাবিবাসে বসেছিলো বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন স্তরের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিত্বশীল ব্যক্তিবর্গের মিলনমেলা।
দিবসটি উপলক্ষে সিলেট সেনানিবাসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও উপহার প্রদান করা হয়। এছাড়াও সমরাস্ত্র প্রদর্শনী, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ, কেক কাটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় কমান্ড সদস্যদের দৈহিক কলাকৌশল সবার নজর কাড়ে।
প্রাণবন্ত এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও সিলেট এরিয়ার কমান্ডার মেজর জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমান। তিনি তাঁর বক্তব্যের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে জেনারেল এমএজি ওসমানীসহ সিলেট অঞ্চলের মানুষের অসীম সাহসিকতা, সহযোগিতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সেনা ও সশস্ত্রবাহিনী স্বমিহমায় উদ্ভাসিত, দেশপ্রেমেরে চেতনায় উজ্জিবিত। সেনাবাহিনী এখন জাতির আস্থার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান। করোনা, বন্যাসহ যেকোন দুর্যোগে এখন মানুষের ভরসার নাম সেনাবাহিনী। বন্যায় ১০৯টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁিড়য়েছে। সম্প্রতি দেশের ক্রান্তিলগ্নে দেশকে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করেছে। বর্তমানে সিলেটের চার জেলায় ১৬টি ক্যাম্পের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতায় নিরলসভাবে কাজ করছে। সিলেটবাসীর সাথে ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ দেশের এই শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সার্বিক সহযোগিতায় যেকোন দায়িত্ব পালনেও অঙ্গীকারাদ্ধ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
মেজর জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমান বলেন, শুধু দেশে নয়, বিশ^ শান্তিতেও সেনা ও সশস্ত্রবাহিনী আস্থার সাথে কাজ করছে। ৫৩টি দেশের ৬৩টি শান্তিরক্ষী মিশনে দক্ষতার সাথে কাজ করে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তা বিশ^বাসি চিরকাল স্মরণ করবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন, সিলেট অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সদস্য মেজর জেনারেল (অব:) আজিজুর রহমান বীর উত্তম। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন দুটি ঘটনার স্মৃতিচারণ করে বলেন, সহকর্মী ও জুনিয়র অফিসারদের প্রতি জেনারেল ওসমানীর দায়িত্বশীলতা, সহমর্মীতা ও কর্তব্যপরায়নতা অনুস্মরণীয় অনুকরণীয়। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর নেতৃত্বগুণের কারণেই স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ সিদ্দিকী, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মুশফেকুর রহমান, পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম, জেলা বিএনপির সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান ও মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদীসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, তাদের পরিবারের সদস্যগণ, শহীদ পরিবারের সদস্যগণ, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, সশস্ত্র বাহিনীর প্রাক্তন সদস্য, স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তি ও গণমাধ্যমে ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।