অসামঞ্জস্যপূর্ণ স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়নি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:৩৭:০৪ অপরাহ্ন
স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা অনেক পুরনো। কতগুলো বিচ্ছিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক তৈরি হয়নি। ফলে এগুলো কার্যকর ভূমিকাও রাখতে পারছে না। অসামঞ্জস্যপূর্ণ এ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়নি।
বৃহস্পতিবার সিলেটের একটি হোটেলে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং জেলা প্রশাসনের যৌথ আয়োজনে এবং ইউএনডিপির সহযোগিতায় স্থানীয় সরকার সংস্কার বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী। এতে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, ড. মাহফুজ কবীর, মাশহুদা খাতুন শেফালী, ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, লেখক ও মানবাধিকারকর্মী ইলিরা দেওয়ান, অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার দপ্তরের পরিচালক ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত ডিআইজি সিএসবি মোহাম্মদ এহ্সান শাহ্, পিপিএম ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দেশের সরকার সংসদীয় পদ্ধতির কিন্তু স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা রাষ্ট্রপতি শাসিত উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ইউনিয়ন উপজেলা ও জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন একেকটি একেকভাবে কাজ করছে। প্রচলিত কাঠামোয় প্রতিষ্ঠানগুলো এক ব্যক্তির কর্তৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। যার ফলে কাউন্সিল অধিবেশনে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না, আবার এ অধিবেশনও ঠিকমত হয় না। প্রণিত পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ না হওয়ায় কাউন্সিল সত্যিকার অর্থে কার্যকর হচ্ছে না।
উন্মুক্ত আলোচনায় সভায় অংশগ্রহণকারীবৃন্দ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের জন্য সেবাসমূহ জনবান্ধব, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না ব্যবহার, নারী কোটা ব্যবস্থাকে কার্যকর, প্রয়োজনে সাংগঠনিক কাঠামো পুননির্ধারণ, জবাবদিহিমূলক পরিবেশ তৈরি, শিক্ষিত মানুষদের স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে অনাগ্রহ দূর, প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার মতো বিভিন্ন সুপারিশ করেন।
মতবিনিময় সভায় জনপ্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ ও এনজিও প্রতিনিধি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। বিজ্ঞপ্তি