শাবিতে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি বন্ধ!
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৫০:৩৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সবধরণের প্রস্তুতি থাকা স্বত্তেও ফাঁকা আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারছেনা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়। ভর্তির ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকার পরও শুধুমাত্র জিএসটি’র আহ্বায়কের একক সিদ্ধান্তে ভর্তি বন্ধ হতে যাচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে আসন শুন্য থাকার পরও ভর্তি না নেয়াকে জিএসটি’র সিলেট বিদ্বেষী মনোভাব ও বৈষম্যমূলক আচরণ বলে মনে করছেন কেউ কেউ। এব্যাপারে শিক্ষা উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন শাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।
শাবি সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি (জিএসটি) গুচ্ছভূক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে ইউজিসি গুচ্ছভূক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ফাঁকা আসন দ্রুত পূরণের লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও জিএসটি-কে অনুরোধ করে কোন ফাঁকা আসন রেখে ২০২৩-২৪ এর ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ না করার জন্য। কিন্তু জিএসটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরোধকে গুরুত্ব না দিয়ে জিএসটি- এর ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, অনাকাঙ্খিত এবং শিক্ষার্থীদের স্বার্থ পরিপন্থী।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. সাজেদুল করিম জানান, একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সর্বোচ্চ ফোরাম হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফাঁকা আসন পূরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যা অত্যন্ত যৌক্তিক ও সময়োপযোগী। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন ফাঁকা রেখে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে অপেক্ষমান তালিকায় থাকা মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে বঞ্চিত করাকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কখনোও ন্যায়সঙ্গত ও যৌক্তিক মনে করে না। এই আলোকে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিল চূড়ান্ত ভর্তির পূর্বে জিএসটি থেকে প্রেরিত শিক্ষার্থীদের ডাটা থেকে মেরিট লিস্ট অনুযায়ী ফাঁকা আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করার ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু জিএসটি’র এমন নির্দেশ শাহজালাল বিশ^বিদ্যালয়ে নতুন ক্রাইসিস তৈরী করবে। এর জের দেশের সব বিশ^বিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
জানা গেছে, অপেক্ষমাণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের আবেদন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ও ইউজিসির পত্রকে আমলে না নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন ফাঁকা রেখে জিএসটি কর্তৃক ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ সরকারি অর্থের অপচয় ও অপেক্ষমাণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করার পায়তারা। এর ফলে কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির উদ্ভব হলে এর সম্পূর্ণ দায়ভার জিএসটি কর্তৃপক্ষের উপর বর্তাবে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে জিএসটি’র অন্তর্ভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কতটি ফাঁকা আসন আছে তা উল্লেখ না করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জিএসটি’র আহবায়কের পত্র প্রেরণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যা সংকট সৃষ্টি করতে পারে। বরং ফাঁকা আসনে অল্প সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থী ভর্তি করে উদ্ভূত সমস্যার সন্তোষজনক সমাধান সম্ভব। সে লক্ষ্যে জিএসটি কার্যকর ব্যবস্থা নিলে শিক্ষার্থীগণ উপকৃত হবে।