হবিগঞ্জে এক মাসেও মিনারা হত্যার ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ মার্চ ২০২৫, ৭:৫৯:৪৮ অপরাহ্ন
মামলা পিবিআইতে হস্তান্তর
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছিলো দিনদুপুরে। এরপর পেরিয়ে গেছে এক মাস। কিন্তু একমাসেও সংঘটিত এই হত্যাকান্ডের কোনো ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। ফলে হবিগঞ্জের বাহুবলে জামায়াত নেত্রী ও শিক্ষিকা মিনারা আক্তারের হত্যা রহস্য এখনো থেকে গেছে অনুদঘাটিত। অবশেষে এক মাসের মাথায় মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করে পুলিশ।
গত ২১ ফেব্রুয়ারী দুপুরের পর যে কোন এক সময় নিজ বাসা বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম জয়পুর গ্রামের নিজ বাসায় শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার দুই দিন পর অজ্ঞাতনামা কয়েক ব্যক্তির নামে বাহুবল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের স্বামী বাহুবল উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারী ও উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল আহাদ। সাত মাসের শিশু সন্তানের সামনেই হত্যা করা হয় তার মাকে। সাত মাসের সন্তানসহ দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি পড়েছেন বিপাকে।
এই মামলার দায়িত্ব পান বাহুবল মডেল থানর সাব ইন্সপেক্টর মঞ্জুরুল ইসলাম। প্রায় একমাস তদন্ত করে কোন কিছু উদঘাটন করতে না পেরে মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়। এক মাসেও কোন ক্লু উদঘাটন না হওয়ায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। আতংকে দিন কাটছে নিহতের স্বামীর। অবুঝ সন্তান আছে নানারবাড়ীতে। মামী লালন পালন করছে শিশুটিকে। তার হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে কয়েক দফা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ছাত্র জনতা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।
বাহুবল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি, এখনো করছি তবে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুত আসামী শনাক্ত করতে পিবিআইয়ের কাছে মামলাটি হস্তান্তর করা হয়েছে। পিবিআই হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার হায়াতুন্নবী বলেন, মঙ্গলবার মাত্র মামলাটি পেয়েছি, আমাদের টিম মাঠে কাজ শুরু করেছে।