মোবারক হো মাহে রমজান
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ মার্চ ২০২৫, ১২:৩০:৩৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: রমজান মাস এসেছে আমাদের মাঝে তাকওয়ার শিক্ষা দিতে। তাকওয়া মানে মনের মধ্যে আল্লাহর ভয়। মুমিনের মনের মধ্যে যখন আল্লাহ ভয় সৃষ্টি হয় তখন সে আল্লাহর নাফরমানি থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলে।আল্লাহর নাফরমানি থেকে মুমিনের বেঁচে থাকার চেষ্টা তার জীবনকে সুন্দর করে। রমজান আমাদের সেই সুন্দর জীবনের পরিবেশে অভ্যস্ত করতে ফিরে আসে প্রতিবছর। এরসাথে রমজান আমাদের এটাও শিক্ষা দেয় কেউ চাইলে তার জীবনের অভ্যাসগুলো বদলাতে পারে।
একটু খেয়াল করলে দেখা যায় রমজান নিয়ে মানুষের মনে অনেক আগ্রহ থাকে। রমজানে মানুষ যতেষ্ট সতর্ক থাকে কী করে ইবাদাত বন্দেগী একটু বেশি করে করা যায়। কী করে আল্লাহর নাফরমানি থেকে বাঁচা যায়। আর এতে বছরের অন্য দিনগুলো থেকে রমজানের দিনগুলো সবচেয়ে সুন্দরভাবে অতিবাহিত হয়। আল্লাহর রহমতের পাশাপাশি মানুষের সতর্কতা এবং গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার অভ্যাস এই দিনগুলো সুন্দর করে দেয়। রমজানের এই অভ্যাস আর সতর্কতা যদি মানুষ সারাবছর অব্যহত রাখে তো সারাবছরই মানুষ সুন্দরভাবে অতিবাহিত করতে পারে। চিন্তামুক্ত থাকতে পারে।
এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার যে আমাদের সারাবছর নানান ধরনের দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন অতিবাহিত করতে হয়। কে কোথায় কোনদিক দিয়ে ঠকালো, কে কার সম্পদ কোন দিক দিয়ে মেরে দিল। কে খাবারে ভেজাল মেশালো। কত ধরনের দুশ্চিন্তা। বাজারে গেলে স্বাভাবিকভাবে বাজার সদাই করা যায় না। প্রতিমুহূর্ত সতর্ক থাকতে হয়, দেখেশোনে বাজার করতে হয়। কোনদিক দিয়ে দোকানী ঠকিয়ে ফেলে। এত সতর্কতা বাদ দিয়ে যদি মানুষ প্রত্যেকে গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য সতর্ক হয়ে যেতো তো একটি সতর্কতা হাজারো ধরনের সর্তকতা থেকে আমাদের বাঁচিয়ে দেয়। হাজারো ধরনের মানসিক যন্ত্রণা থেকে মানুষ পরিত্রাণ পেতো।
এই যে আমাদের চরম এক দুর্বিসহ সময়ের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হওয়া তা আমাদেরই অর্জন। আমরা আমাদের নিয়ন্ত্রণহীন লোভের কারণে নিজেদের সুন্দর জীবনকে দুর্বিসহ করে ফেলছি। দিন দিন এর মাত্রা বাড়ছেই। তাই আমাদের এখনই এ থেকে সর্তক হওয়া দরকার। নয়তো আমাদের এ অভ্যাস চরম দুর্ভাগ্যের দিকে ঠেলে দেবে। আমাদের এই দুর্ভাগ্য থেকে বাঁচাতে পারে কেবল আল্লাহর তাকওয়া। আল্লাহর ভয় যদি মানুষের মনে জাগ্রত থাকে তো যাবতীয় খারাপ কাজ থেকে মানুষ বিরত থাকতে পারে।