হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে তাবলিগে গিয়ে অপহরণ নাটক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ জুন ২০২৫, ৮:২৬:৩০ অপরাহ্ন
সংবাদদাতা: হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে চাঞ্চল্যকর মফিল হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে আ. মান্নান তাবলিগ জামাতে আত্মগোপন করেছেন। সেখানে গিয়ে সাজিয়েছেন অপহরণ মামলা। তবে হত্যা মামলার আসামি হিসেবে শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তবলি ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মাস্টার বাড়ি জামে মসজিদ থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশি ইউনিয়নের কৃষক মফিল মিয়াকে ২৬ ডিসেম্বর হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল মান্নানকে আসামি করে মামলার বাদী পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেন। মামলা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে তাবলিগ জামাতে ৪০ দিনের চিল্লায় চলে যান। পরে তার মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন চৌধুরীকে দিয়ে অপহরণ নাটক সাজান।
গত ১৩ জুন তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ থেকে ঢাকা কাকরাইল মসজিদে যান। ১৬ জুন কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের রেজিস্টার খাতায় তার প্রকৃত নাম ঠিকানা পরিবর্তন করেন। প্রকৃত নাম আব্দুল মান্নান, পিতা : আব্দুর রহিম, গ্রাম আলোনিয়ার পরিবর্তে নাম লিখেন মো. আব্দুল্লাহ, পিতা : আব্দুর রহিম ঠিকানা হবিগঞ্জ সদর।
১৫ জুন তার মেয়ে শাহিনা ইয়াসমিন চৌধুরী বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় অপহরণ মামলা করেন। ঘটনার পর থেকেই চুনারুঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ নুর আলম তদন্ত কাজ শুরু করেন। চুনারুঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ নুর আলম তথ্যপ্রযুক্তি ও নিজস্ব গোয়েন্দার মাধ্যমে জানতে পারেন, তিনি বেঁচে আছেন এবং মোবাইল ফোনে বিভিন্ন জনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তবলি ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মাস্টার পাড়া জামে মসজিদ থেকে তাকে গ্রেফতার করেন ফতুল্লা থানার এসআই মো. শাহ আলম।