বিএনপি-জামায়াত নিয়ে কঠিন সমীকরণে এনসিপি
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ৯:৪১:৪৭ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সদ্য গঠিত রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি) জোট গঠনের বিষয়ে বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে দর কষাকষি করছে। তবে, দলটি একটি স্বতন্ত্র মধ্যপন্থী অবস্থান বজায় রাখতে তৃতীয় জোট গঠনের দিকে বেশি ঝুঁকছে বলে জানা গেছে।
এনসিপি গত ২৮ ফেব্রæয়ারী ২০২৫ তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ছাত্র নেতৃত্বাধীন একটি রাজনৈতিক দল, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম। এনসিপি নিজেদেরকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মতো ঐতিহ্যবাহী দলগুলোর বাইরে একটি বিকল্প শক্তি হিসেবে তুলে ধরতে চায়।
বিএনপি ও জামায়াত উভয়ই এনসিপিকে জোটে টানার চেষ্টা করছে। তবে, এনসিপির ভেতরে এই দুটি দলের সাথে জোট গঠন নিয়ে নানা আলোচনা ও হিসাব-নিকাশ চলছে। এনসিপির নেতারা মনে করেন, যদি তারা বিএনপির সাথে জোট করে, তবে বিএনপি মনোনীত বিদ্রোহী প্রার্থীরা তাদের জন্য নির্বাচনে জয়লাভ কঠিন করে তুলতে পারে। অন্যদিকে, জামায়াতের সাথে জোট করলে এনসিপির উপর একটি নির্দিষ্ট মতাদর্শের তকমা লেগে যেতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে দলটির মধ্যপন্থী রাজনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
এ অবস্থায়, এনসিপির বেশিরভাগ নেতা বিএনপি বা জামায়াতের সাথে সরাসরি জোটে না গিয়ে একটি মধ্যপন্থী চরিত্র বজায় রাখতে তৃতীয় কোনো জোটের মাধ্যমে নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব আক্তার হোসেনসহ অধিকাংশ নেতা এই মত দিয়েছেন। এনসিপি গণতন্ত্র মঞ্চের ছয়টি দল, এবি পার্টি এবং গণঅধিকার পরিষদের মতো দলগুলোর সাথে নিয়ে একটি সম্ভাব্য নয়-দলীয় জোট গঠনের বিষয়েও আলোচনা করেছে। এছাড়াও দলটি বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মতো ইসলামপন্থী দলগুলোর সাথে বিভিন্ন জাতীয় সনদ ও রাজনৈতিক ইস্যুতে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
এনসিপি একটি ‘মহাজোট’ গঠনের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, যেখানে গণঅধিকার পরিষদ এবং অন্যান্য তরুণ-নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্ভুক্ত হবে। এই জোট এনসিপির নাম ও প্রতীক ব্যবহার করবে। গণঅধিকার পরিষদ একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, যা ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন লাভ করে এবং এর নির্বাচনী প্রতীক হচ্ছে ‘ট্রাক’।





