ব্রেইন ও ভয়েস ফর রিফর্মের জরিপ : স্থানীয় রাজনীতে ভোটার সন্তুষ্টির শীর্ষে জামায়াত, ৩য় বিএনপি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ৯:৩০:৩২ অপরাহ্ন

জালালাবাদ রিপোর্ট : স্থানীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম নিয়ে ভোটারদের মধ্যে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর চেয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতি সবচেয়ে বেশি সন্তুষ্টি ভোটারদের। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইনোভেশন কনসাল্টিংয়ের ‘জনগণের নির্বাচন ভাবনা’ শীর্ষক দ্বিতীয় দফার তৃতীয় পর্বের জরিপে এ ফলাফল উঠে এসেছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্রেইন ও ভয়েস ফর রিফর্মের সহযোগিতায় এ জরিপ পরিচালনা করা হয়।
স্থানীয় পর্যায়ে দলীয় রাজনীতি নিয়ে সন্তুষ্টির বিষয়ে ভোটারদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। এতে জামায়াতের কার্যক্রমে সন্তুষ্ট ৪৭.৪ শতাংশ উত্তরদাতা। একেবারেই সন্তুষ্ট নন ১৯.৭ শতাংশ উত্তরদাতা। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এনসিপি। এনসিপির কার্যক্রমে সন্তুষ্ট ৪০.৭ শতাংশ উত্তরদাতা। সন্তুষ্ট নন ১৭ শতাংশ।
অন্যদিকে বিএনপির কার্যক্রমে সন্তুষ্ট ৩৯.৪ শতাংশ উত্তরদাতা। আর একেবারেই সন্তুষ্ট নন ২৭.৬ শতাংশ উত্তরদাতা।
এদিকে, জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি সম্পর্কে শোনেননি কিংবা ধারণা নেই ৬৮ শতাংশ নারী ও ৪৬ শতাংশ পুরুষ ভোটারের। আর ২৭ শতাংশ পুরুষ ও ১৫.৫ শতাংশ নারী ভোটার বলেছেন, তারা পিআর চান।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রুবাইয়াত সারওয়ার সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিডিবিএল ভবনে এক অনুষ্ঠানে জরিপের এই ফলাফল তুলে ধরেন।
গত ২ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর এ জরিপ পরিচালিত হয়। এতে ১০ হাজার ৪১৩ জন ভোটার অংশ নেন। এর মধ্যে ৫ হাজার ৬৩৯ জন পুরুষ এবং ৪ হাজার ৭১৯ জন নারী।
রুবাইয়াত সারওয়ার বলেন, জরিপের ফলাফল থেকে এটা স্পষ্ট হচ্ছে যে উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে জনগণকে অবগত করা জরুরী।প্রসঙ্গত, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে ‘ভয়েস ফর রিফর্ম’ নামের নতুন একটি নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আত্মপ্রকাশ ঘটে। গত ৪ অক্টোবর থেকে ধারাবাহিকভাবে নানা অঙ্গনে সংস্কার বিষয়ে ‘মেরামত আলাপ’ শিরোনামে গুণগতমানের আলোচনা শুরু করে।
এ প্ল্যাটফর্মে ১৩ জন সহ–আহŸায়ক আছেন। তাদের একজন হলেন আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহীদুল আলম। প্ল্যাটফর্মটির সহ-আহŸায়ক হিসেবে অন্য যারা আছেন, তারা হলেন- মানবাধিকারকর্মী অশোক বড়ুয়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাজিফা জান্নাত, তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা ফাহিম মাশরুর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাসুদ রানা, আইনজীবী ও সংবাদকর্মী মানজুর-আল-মাতিন, প্রকাশক ও গবেষক মাহরুখ মহিউদ্দীন, অধিকারকর্মী মুক্ত শ্রী চাকমা, গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ সাইয়ীদ কবীর, সাংবাদিক ও ই-আরকি সম্পাদক সিমু নাসের, রাজনৈতিক কর্মী সৈয়দ হাসিব উদ্দীন হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শাহিনুর সুমি এবং শ্রম অধিকার কর্মী মো. রুহুল আমিন।







