সিলেট চেম্বার নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ৯:১৯:২৯ অপরাহ্ন
৭দিনেও আসেনি হাইকোর্টের কপি

স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছেনা। বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো আসেনি হাইকোর্টের রায়ের কপি। যে কারণে নির্বাচন নিয়ে অনিয়শ্চায় ভুগছেন প্রার্থী ও ভোটারার।
নির্বাচন প্রত্যাহারের হাকোর্টের রায়ের কপি বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) পর্যন্ত না আসার বিয়ষটি নিশ্চিত করেছেন সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রশাসক ও জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদা পারভীন।
তিনি বলেন, হাইকোর্ট থেকে কোন অফিশিয়াল নথি বা চিঠি এখনো আমরা পাইনি। কিন্তু ফেইসবুকের মেসেঞ্জারে আমি প্রত্যাহারের কপিটা পেয়েছি তবে এটি আনঅফিশিয়াল। সেটার ভিত্তিতে আমরা নির্বাচনের কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারব না, হাকোর্টের থেকে কাগজ পেলেই আমরা নির্বাচন নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
এদিকে, চেম্বার নির্বাচনে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের স্থহিতাদেশ হাইকোর্টের প্রত্যাহারের পরও নির্বাচনের পরবর্তীতে তারিখ ঘোষণা না হওয়ায় এক অনিশ্চিয়তার মধ্যে দিন পার করছেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা।
রোববার দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে চেম্বারের কার্যালয়ের সামনেই মানববন্ধন করেছেন ব্যবসায়ী ফোরামের প্রার্থীরা আবার একই দাবিতে হযরত শাহজালাল মাজার মসজিদে দোয়া মাহফিল আয়োজন করে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের প্রার্থীরা।
এসময় মানববন্ধনে বক্তব্যকালে ব্যবসায়ী ফোরামের অ্যাসোসিয়েট শ্রেণির পরিচালক পদের প্রার্থী রেহান উদ্দিন রায়হান বলেন, ব্যবসায়ীরা নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রেখেই আমাদের সাথে মানববন্ধন করছেন কারণ তারাও চাচ্ছেন যেন দ্রুত ব্যবসায়ীদের প্রাণের সংগঠন চেম্বারের নির্বাচনটা দ্রুত হোক। এই নির্বাচনী অনিয়শ্চয়তার কারণে আজকে সিলেটের সকল স্থলবন্দর কেন্দ্রিক ব্যবসায়ীরা অসহযোগিতার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন যেটি ব্যবসার পরিবেশকে আরও খারাপ করতে পারে।
এছাড়াও ব্যবসায়ী ফোরামের সভাপতি পদের প্রার্থী এহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, নির্বাচন দ্রুত সম্পন্ন হোক আমরা এটাই চাই, এটি ব্যবসায়ীদের সংগঠন সকল ব্যবসায়ী ও আমাদের ভোটাররাও চান দ্রুত নির্বাচন দিয়ে সিলেটে সুষ্ঠ একটি ভোটের পরিবেশ ফিরে আসুক।
অন্যদিকে সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের সভাপতি প্রার্থী ফালাহ উদ্দিন অলি আহমদ বলেন, আমরাও চাই দ্রুত সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাচনটা শেষ হোক, সিলেট বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ হাব, যার কারণে অনেক ব্যবসায়ীরা অনেকটা অনিশ্চয়তায় মধ্যে দিন পাড় করছেন, তাই আমাদেরও প্রশাসনের কাছে অনুরোধ দ্রুত নির্বাচনটা অনুষ্ঠিত হোক।
উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর সিলেট চেম্বারের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তফসিল ঘোষণা, মনোনয়ন যাচাইসহ নির্বাচনের প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল। নির্বাচনে দুটি প্যানেল সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ ও সিলেট ব্যবসায়ী ফোরাম থেকে মোট ৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। তবে শেষ দিকে এসে গত ২৬ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন-১ শাখার উপ-সচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশনা দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে চেম্বার নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল ব্যবসায়ী ফোরাম হাইকোর্টে নির্বাচনের স্থগিতাদেশ নিয়ে রিট করলে গেল ২৯ অক্টোবর আদালত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করার অনুমতি দেন। কিন্তু হাইকোর্টের কপি না পৌঁছানোর কারণে ১ নভেম্বর ভোটগ্রহণ হয়নি। এখনো কপি না আসায় ভোটগ্রহণের তারিখ নিয়ে শঙ্কা কাটছেনা।
এদিকে সিলেট চেম্বারের নির্বাচনের ব্যাপারে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ সারওয়ার আলম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, হাইকোর্টের রায় কপিটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হয়ে আমাদের কাছে আসবে। তাই দেরি হচ্ছে। কপি হাতে পাওয়ার পর নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।







