ফলে বিষাক্ত রাসায়নিক!
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ মে ২০২৪, ১২:৩৫:১২ অপরাহ্ন
আনারস সবার কাছেই একটি পছন্দের ফল। এর রসালো স্বাদে এবং গন্ধে অনেকের মন ভরে যায়। আর এই সুস্বাদু ফল নিয়ে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী ও চাষি অসধুপায় অবলম্বন করে থাকে। ফল পাকাতে ব্যবহার করে বিষাক্ত রাসায়নিক।
কিছুদিন আগে একটি জাতীয় দৈনিকের সংবাদ সূত্রে জানা গেছে ফল সরবরাহকারী অঞ্চল মধুপুরে ফল উৎপাদকরা আনারস পাকাতে ব্যাপক হারে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করছে। দেখা গেছে, তারা ‘রাইপেন’ ও ‘প্রপিট’ নামক দুটো বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহার করছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফলে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার না করতে এবং এগুলোকে প্রাকৃতিকভাবে পাকতে দেয়ার জন্য আহবান সত্বেও তারা আনারসে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ স্প্রে করছে।
চাষিদের সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটি আনারসও খুঁজে পাওয়া যাবে না, যা বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার না করে পাকানো এবং বাজারজাত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, শুধু আনারস নয় কলা এবং কাঁঠাল পাকাতেও রাসায়নিক ব্যবহৃত হচ্ছে। এই বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ দু’টি এতোই জনপ্রিয় যে এলাকার যে কোনো মুদীর দোকানেও তা পাওয়া যাচ্ছে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, মধুপুরে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে আনারস এবং সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে কলা উৎপাদিত হয়।
বলা বাহুল্য, সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলাও আনারস উৎপাদনের জন্য প্রসিদ্ধ। বিশেষভাবে শ্রীমঙ্গল ও জলঢুপের আনারস সিলেট অঞ্চলের ফলপ্রেমীদের রসনা তৃপ্ত করে থাকে। এসব এলাকার ফল উৎপাদকরা যাতে আনারস কিংবা অন্যান্য ফলে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ না মেশায় সেদিকে কঠোর দৃষ্টি রাখার জন্য কৃষি বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি। আমাদের আশংকা, মধুপুরের আনারস চাষীরা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ফল উৎপাদক বা ব্যবসায়ীরা যেভাবে বিভিন্ন ফলে রাসায়নিক পদার্থ মেশাচ্ছেন, এতে শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও এসব ফল এবং ফল থেকে উৎপাদিত জেম জেলী ইত্যাদির বাজার অচিরেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
তাই এ ধরণের ক্ষতিকর তথা আত্মঘাতী তৎপরতা বন্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কঠোর ও দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আমরা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।