কেমুসাসে আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:৩৬:২২ অপরাহ্ন
সরকারি মদনমোহন কলেজ এর পরিসংখ্যান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আকবর হোসেন চৌধুরী বলেছেন, কবিতা আবৃত্তি শিশুদের বাচনভঙ্গিকে সৌন্দর্যময় করে তুলে। এর মাধ্যমে তারা সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতি উৎসাহী হয়। যা বইয়ের সাথে তাদের সম্পর্ককে আরো বৃদ্ধি করে। বইপাঠের মাধ্যমে তাদের মধ্যে আলোকিত চিন্তাচেতনা ও ধ্যান-ধারণা সৃষ্টি হয়। যা তাদেরকে উন্নত মানুষ হতে অনুপ্রাণিত করে।
কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ এর উদ্যোগে অষ্টাদশ কেমুসাস বইমেলায় ‘বিশেষ’ ও ‘ক’ গ্রুপের আবৃত্তি প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বইমেলা উপকমিটির সদস্য দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুক্রবার বিকালে বইমেলা প্রাঙ্গণে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। বইমেলা উপকমিটির সদস্য সচিব কামরুল আলমের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংসদের সাবেক সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক কবি নাজমুল আনসারী, বইমেলা উপকমিটির সদস্য মিনহাজ ফয়সল। প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাহিত্য সমালোচক বাছিত ইবনে হাবীব ও কবি মামুন সুলতান। শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন নলেজ হারবার স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী তাজওয়ার আলম।
প্রতিযোগিতায় সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। ‘বিশেষ’ গ্রুপে প্লে থেকে ১ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। তাদের বিষয় ছিল কাজী নজরুল ইসলামের ‘ভোর হলো’ কবিতা। ‘ক‘ গ্রুপের প্রথম অংশ ২য় থেকে ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। তাদের বিষয় ছিল আল মাহমুদের ‘পাখির মতো’ কবিতা। ‘বিশেষ’ গ্রুপের বিজয়ীরা হলেন : প্রথম-অপরাজিতা রায়, দ্বিতীয়-উমর জাওয়াদ আহমেদ এবং তৃতীয়-মমতা জান্নাত নওরীন। ‘ক’ গ্রুপের বিজয়ীরা হলেন : প্রথম-মানজুবা মাহিরা, দ্বিতীয়-আফসানা আক্তার মুন্নি এবং তৃতীয়-তাজকিয়া তাসনিম। বিজ্ঞপ্তি