আল বিদা মাহে রমজান
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৫০:৩২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টির অনন্য এক মাস রমজান। এ মাসে সবাই একসাথে সেহরি ও ইফতার করেন। একজন আরেকজনের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। এটাই হচ্ছে মুসলমানদের চিরায়ত বৈশিষ্ট্য। এটাই মুসলমানদের আচরণ। রমজান এসে তাদের সেই বৈশিষ্ট্য বা আচরণকে ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়, যাতে মুসলমানরা তাদের স্বভাব চরিত্র বা আচরণের ভারসাম্যের শিক্ষা রমজান থেকে নিয়ে পুরো বছরধরে তা অব্যহত রাখবার চেষ্টা করে।
এজন্য নবী করীম সা. বলেছেন, বুখারী শরীফের ১৭৫৯ নম্বর হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে এটি বর্ণনা করা হয়েছে, ‘রোজা ঢাল স্বরূপ। সুতরাং রোজাদার অশ্লীল কথা বলবে না। জাহেলী আচরণ করবে না। কোনো লোক তার সাথে ঝগড়া করতে চাইলে অথবা গালাগালি করলে বলবে আমি রোজাদার’।
কেউ যদি এই অভ্যাসগুলো করতে পারে তো তাদের অনাকাক্সিক্ষত সংঘাতে জড়িয়ে যাবার সুযোগ থাকবে না। প্রত্যেকে একে অপরের সাহায্যকারী হিসেবে পরিণত হতে পারে। নিজেদের মধ্যে সুন্দর একটি সর্ম্পক তৈরি হতে পারে। মূল কথা হলো সংঘাতময় পরিস্থিতি সচেতনভাবে এড়িয়ে যেতে হবে। কারো সাথে কেউ যদি বিবাদ করতে আসে আর সে যদি তাকে এড়িয়ে যেতে চায় তো প্রাথমিকভাবে অনেক বড়ো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি থেকে বেঁচে থাকা যায়। এটাই হচ্ছে সংযম বা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ।
ইসলামি ভ্রাতৃত্ব আল্লাহর পক্ষ থেকে দেওয়া একটি সামগ্রিক নেয়ামত। মাহে রমজানে মুসলিম উম্মাহর এক সাথে সিয়াম, সালাতুৎ তারাবি, সালাতুল ঈদসহ আরো অন্যান্য সকল ইবাদাত মুসলিম উম্মাহর পারস্পারিক ভ্রাতৃত্বেরই বহিঃপ্রকাশ হয়। তাই রমজান মাস আমাদের মুসলিম উম্মাহর ভ্রাতৃত্বের প্রশিক্ষণ দেয়। ইসলাম ভাষা, বর্ণ, ভৌগলিক সীমারেখা, ধনী-গরীবের বৈষম্য ইত্যাদির ঊর্ধ্বে উঠে ইসলামি ভ্রাতৃত্বে বিশ্বাসী। পবিত্র কুরআন মুসলমানদেরকে পরস্পরের ভাই বলে উল্লেখ করেছে এবং পরস্পরের মাঝে এই ভ্রাতৃত্বের বন্ধন অটুট রাখার আহ্বান জানিয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘মুমিনগণ পরস্পর ভাই ভাই। সুতরাং তোমরা ভ্রাতৃগণের মধ্যে শান্তি স্থাপন কর যাতে তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হও।’ (আল-হুজুরাত: ১০)।