মহার্ঘ ভাতা: সুখবর পেতে পারেন সরকারি চাকরিজীবীরা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ মে ২০২৫, ৭:৫৭:১৭ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পরপর সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতা কার্যকরের কথা জানিয়েছিল। এই পথে সরকার অনেকটা অগ্রসরও হয়েছিল। যদিও নানা মহলের সমালোচনায় কিছুটা পিছু হটে সরকার। তবে এবার নতুন করে মহার্ঘ ভাতা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
জানা যায়, মহার্ঘ ভাতা সংস্থানের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবকে আহ্বায়ক করে গত ডিসেম্বরে সাত সদস্যের একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি প্রায় চার মাস করে একটি সুপারিশ তৈরি করেছে।
সুপারিশ অনুযায়ী, গ্রেডভিত্তিক ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আগামী ২০ মে বিষয়টি নিয়ে অর্থ ড. উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ভাতা দিলে আগামী অর্থবছরে বাড়তি কত খরচ হবে, সেই হিসাব-নিকাশও কষছে সরকার। যদিও বিষয়টি এখনো আলোচনা পর্যায়েই রয়েছে।
প্রস্তাব অনুযায়ী মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা হলে সরকারি চাকরিজীবীরা বাড়তি ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট পেতে পারেন বলে সূত্রে জানা গেছে। জানা গেছে, অর্থ বিভাগের খসড়ায় ১১তম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ এবং প্রথম থেকে দশম গ্রেডের কর্মচারীদের ১০ বা ১৫ শতাংশ হারে ভাতা দেওয়ার বিকল্প প্রস্তাবও রয়েছে। প্রথম থেকে দশম গ্রেডে ১০ শতাংশ দেওয়া হলে ৬ হাজার কোটি টাকা বাড়তি অর্থের প্রয়োজন হবে। অন্যদিকে ১৫ শতাংশ দেওয়া হলে ব্যয় দাঁড়াবে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বাবদ বরাদ্দ ছিল ৮২ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১০ দশমিক ৪১ শতাংশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, পাঁচ বছর পরপর সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামো হওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু ২০১৫ সালে সর্বশেষ বেতন কাঠামো কার্যকর হয়েছে। এরপর আর নতুন কাঠামো আসেনি। অথচ এ সময়ের মধ্যে মূল্যস্ফীতি বেশ বেড়েছে। এ কারণে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।