দিরাইয়ে সেনা অভিযানকালে গোলাগুলিতে নিহতের দাফন, অস্ত্রসহ আটক ৪
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জুন ২০২৫, ৭:৩৩:৪৮ অপরাহ্ন
দিরাই প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে সেনাবাহিনীর টহল অভিযান চলাকালে গোলাগুলির ঘটনায় নিহত আবু সাঈদের (৩৫) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে মরদেহ পারিবারিক কবরস্থান দাফন করা হয়।
নিহত আবু সাঈদ দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের তারাপাশা গ্রামের তাজ মিয়ার ছেলে। দুই সন্তানের জনক আবু সাইদ একজন পেশাদার ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হিসেবে এলাকায় পরিচিত। এ ঘটনায় অস্ত্রসহ ৪জনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত ১৭ পদাতিক ডিভিশনের অধীনে সেনা অভিযান চলে। দীর্ঘ অভিযানে ১ টি এক নলা বন্দুক, চারটি পাইপগানসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার ও সন্দেহভাজন ৪ জনকে আটক করা হয়। সেনাবাহিনীর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা একরার হোসেনের লোকজনের সঙ্গে একই ইউনিয়নের বিএনপি’র সভাপতি আতিকুর রহমানের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোলাগুলির ঘটনা সংঘটিত হয় এবং উক্ত গোলাগুলিতে ১ জন বেসামরিক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়াও একরার ও তার অনুসারীরা প্রায়শঃই এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে আসছিলো। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জ থেকে গত ২২ জুন সেনাবাহিনীর একটি টহল দল অস্ত্রধারীদের ধরতে হাতিয়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের উপস্থিতি টের পেয়ে একরার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীকে লক্ষ করে গুলি ছুঁড়তে থাকে এবং আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়। পরবর্তীতে একরার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালাতে শুরু করে। টহল দল উক্ত স্থানে গমনের পরে একজনের মরদেহ দেখতে পায়। মৃত ব্যক্তি কার গুলিতে মারা গেছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরবর্তীতে যৌথ বাহিনী উক্ত এলাকায় তল্লাশী কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সন্দেহজনক ৪ জন সন্ত্রাসীদের (তাজ উদ্দিন, আমির উদ্দিন, ইরন মিয়া এবং জমির মিয়া) আটক করে। আটককৃত ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক নিহত ব্যক্তি অজ্ঞাত কোন সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা গেছে বলে জানা যায়। এছাড়াও আটককৃতদের নিকট হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী হাতিয়া, জারলিয়া, উত্তর সুরিয়ারপারসহ কয়েকটি গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় চালায়। তল্লাশী করে একটি একনলা বন্দুক, ৪টি পাইপ গান, ৭টি রামদা, ৯টি বল্লম, ৬টি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, ১ টি তাজা বুলেট এবং ১টি ফায়ারকৃত ব্ল্যাংক কার্টিজ উদ্ধার করে।
এদিকে, নিহত আবু সাইদের ভাই গোলাম কিবরিয়া জানিয়েছেন ইলেকট্রিকের কাজ করতেই পার্শ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার গাইদ্দালা গ্রামে গিয়েছিলেন তার ভাই। সেখানেই গুলিতে নিহত হন।